সার সরবরাহের বিষয়ে কেন্দ্রীয় রাসায়নিক ও সার প্রতিমন্ত্রী ভগবন্ত খুবাকে প্রশ্ন করার অভিযোগে রবিবার কর্ণাটকের বিদর জেলার এক স্কুল শিক্ষককে সাসপেন্ড করল রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম কুশল পাতিল। তিনি কর্ণাটকের বিদর জেলার হেদাপুরা গ্রামের শিক্ষক। সোশ্যাল মিডিয়াতে মন্ত্রী ভগবন্ত খুবা এবং কুশল পাতিলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার পরেই পাতিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কুশল পাতিল জানিয়েছেন, গত ১৭ জুন তাঁকে সাসপেনশনের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
কুশল পাতিল কেন্দ্রীয় রাসায়নিক ও সার প্রতিমন্ত্রী ভগবন্ত খুবাকে ফোন করে সার সরবরাহের অভাব নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। যেখানে মন্ত্রীকে বলতে শোনা যায় যে তিনি এ বিষয়ে কিছু করতে পারবেন না। ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপ থেকে আরও জানা গেছে যে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন তিনি ইতিমধ্যে রাজ্যগুলিতে সার পাঠিয়েছেন এবং মিঃ পাতিল যিনি নিজেকে একজন কৃষকের ছেলে বলে পরিচয় দিয়েছেন, তাঁকে এ ব্যাপারে স্থানীয় বিধায়কের কাছে যেতে বলেছেন।
এছাড়াও, অডিও কলে ভগবন্ত খুবা বলেছেন, "আমি ভারত সরকারের অধীনে মন্ত্রী এবং রাজ্যগুলির দেখভাল করি। আপনার এমএলএ এবং অফিসারদের কাছে যাওয়া উচিত।"
এরপরই কুশল পাতিল যখন মন্ত্রীকে গ্রামে গ্রামে ভোট চাওয়ার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন তখন তাঁদের কথোপকথন আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পাতিল ভগবন্ত খুবাকে বলেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিদর লোকসভা কেন্দ্রের জনগণ তাঁকে আর নির্বাচিত করবে না।
অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার পরেই কুশলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন স্থানীয় ব্লক শিক্ষা আধিকারিক একটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে বলা হয়েছে, "ইচ্ছাকৃতভাবে টেলিফোনের কথোপকথন রেকর্ড করা হয়েছে। এরপর সেটা সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল করে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দেওয়ার জন্য শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে।"
এ প্রসঙ্গে কুশল পাতিল এক সংবাদসংস্থাকে বলেছে, মূলত তাকে সার চাওয়ার জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে। যেহেতু তিনি একটি কৃষি পরিবার থেকে এসেছেন এবং গত মরসুমে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। সেই কারণেই তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন