অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম সুইগি ও জোমাটো খাবারের ডেলিভারি চার্জের জন্য ৫০০ কোটি টাকার জিএসটি নির্দেশিকা পেয়েছে। বুধবার এমনটাই প্রকাশ পেয়েছে একাধিক সংবাদ রিপোর্টে। দুটি সংস্থাই খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য যে ডেলিভারি চার্জ নেয়, সেই 'বাড়তি' চার্জের জন্যই ওই নির্দেশিকা পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সুইগি ও জোমাটো, উভয় সংস্থার কাছেই এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তারা মুখ খুলতে চায়নি।
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দুটি সংস্থাই খাবারের ডেলিভারি করার জন্য কাস্টমারদের থেকে নূন্যতম মূল্য আদায় করে। কর আধিকারিক ও ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলির মধ্যে প্রায়শই এই ডেলিভারি চার্জ নিয়ে বিবাদ বাধে। রিপোর্ট বলছে, এই বিবাদের মূলে রয়েছে প্রায় ১০০০ কোটি টাকার গরমিল। সুইগি ও জোমাটো কর্তৃপক্ষের মতে, কাস্টমারদের থেকে নেওয়া সেই ডেলিভারি চার্জ আসলে সেইসব ডেলিভারি পার্টনারদের জন্যই, যারা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে কাস্টমারদের খাবার পৌঁছে দেয়।
কোম্পানির বক্তব্য, অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে অর্ডার নেওয়ার সময়ই কাস্টমারদের থেকে কোম্পানি সেই ডেলিভারি চার্জ নিয়ে নেয়। এরপর তা ডেলিভারি পার্টনারদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কর আধিকারিকরা দুই কোম্পানির এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত নয়। গত এপ্রিল মাসে, সুইগি প্রতিটি অর্ডারে ২ টাকা করে ‘প্ল্যাটফর্ম ফি’ নেওয়া শুরু করে। গতমাসেই, সেই মূল্য বাড়িয়ে ৩ টাকা করা হয়।
অন্যদিকে জোমাটো অনেকদিন ধরেই কাস্টমারদের থেকে ২ টাকা করে প্ল্যাটফর্ম ফি নিত। গত আগস্টে, সেটা ৩ টাকা করা হয়।
এই নিয়ে সুইগির এক মুখপাত্র এক সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, “প্ল্যাটফর্ম ফি-তে কোনোরকম উল্লেখযোগ্য বদল হয়নি। এই অনলাইন ফুড ডেলিভারি সেক্টরে কাস্টমারদের থেকে নেওয়া এই মূল্য খুব সাধারণ একটি ব্যাপার, অধিকাংশ কোম্পানিই কাস্টমারদের থেকে এই টাকা চার্জ করে থাকে।”
-With IANS Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন