ক্ষমতায় এসে সুইস ব্যাঙ্ক থেকে সমস্ত কালো টাকা উদ্ধার করা হবে। এমনটাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তাঁর শাসনকালেই সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের রেকর্ড পরিমাণ টাকা জমা পড়েছে। সুইস ব্যাঙ্কের রিপোর্টে উঠে আসল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বিগত ১৪ বছরে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ সবথেকে বেড়েছে। ভারতীয় ব্যক্তি এবং বিভিন্ন ভারতীয় সংস্থার সঞ্চিত অর্থের বর্তমান পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৮৩ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ ( ভারতীয় মুদ্রায় যা ৩০ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি)। তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালের শেষদিকে ভারতীয় গ্রাহকদের কাছ থেকে সুইস ব্যাঙ্কে সংগ্রহ ছিলো ২.৫৫ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ ( প্রায় ২০,৭০০ কোটি টাকা)। অর্থাৎ এক বছরে প্রায় ৫০% বৃদ্ধি পেয়েছে সঞ্চিত অর্থের পরিমান।
সুইজারল্যান্ডের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয়দের সঞ্চিত অর্থ এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় বছর বৃদ্ধি পেল। উল্লেখ্য, সঞ্চিত অর্থের পরিমাণের দিক থেকে শীর্ষে আছে ইউকে (CHF ৩৭৯ বিলিয়ন), দ্বিতীয় স্থানে আছে ইউএসএ (CHF ১৬৮ বিলিয়ন)। তাছাড়া প্রথম দশে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জার্মানি, হংকং, নেদারল্যান্ডস, সাইপ্রাস, লুক্সেমবর্গ, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর, ও বাহামাস।
ভারতের অবস্থান ৪৪ তম। ভারতের পরেই আছে পোল্যান্ড, নরওয়ে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, সাউথ কোরিয়া, হাঙ্গেরি, ফিনল্যান্ড, ওমান সহ আরও অন্যান্য দেশ। তবে এই রিপোর্ট নতুন নয়। এর আগেও সুইস ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের তরফ থেকে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছিল। কিন্তু তা কার্যত অস্বীকার করেছিল ভারতীয় অর্থমন্ত্রক।
২০২১ সালে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক জানিয়েছিল, ২০১৯ সালের শেষ থেকেই সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয় গ্রাহকদের আমানত কমতে শুরু করেছে। ২০২০ সালের শেষে মোট টাকার পরিমাণ বেড়েছে অন্য কারণে। এই বৃদ্ধি আসলে বন্ড, সিকিউরিটিজ এবং অন্যান্য ফিনান্সিয়াল ইন্সট্রুমেন্টসের কারণে হয়েছে।
তবে পূর্বে অস্বীকার করলেও ফের সুইস ব্যাঙ্কের রিপোর্ট মোদী সরকারের চরম অস্বস্তি বাড়িয়েছে সেই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন