রাত পেরোলেই ‘৫০’ দিনে পড়বে ‘লটে চকো পাই’ (The Lotte Choco Pie) কারখানার শ্রমিকদের ধর্মঘট। কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের দায়ে কয়েকমাস আগে ৪ জন শ্রমিককে বরখাস্ত করেছিল ‘লটে চকো পাই’ কোম্পানি। তারই প্রতিবাদে গত ২০ এপ্রিল, ধর্মঘট ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে গঠিত হয় এই ইউনিয়ন। মূলত, কারখানার তথা লটে চকো পাই’ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য সুবিধা নিয়ে আলোচনার জন্য এই ইউনিয়ন গঠন করা হয়। আর, সেই অপরাধে ৪ জন শ্রমিককে বরখাস্ত করা হয়ে। একইসঙ্গে, ১১ জন কর্মীকে ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশও পাঠিয়েছে কারখানার ম্যানেজমেন্ট।
সংবাদ মাধ্যম নিউজক্লি (News Click)-কে কাঞ্চিপুরমের CITU-র সম্পাদক মুথু কুমার বলেন - ‘গত দু-দুটি আলোচনায় সিআইটিইউ যে সমঝোতার দাবি জানিয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছে অহংকারী কোরিয়ান প্রশাসন৷’
Lotte India Corporation Ltd. হল দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আন্তর্জাতিক চকোলেট কোম্পানি। ২০১১ সালে তামিলনাড়ুর তিরুভাল্লুর জেলার পুনামাল্লির কাছে নেমামে এই কোম্পানির একটি কারখানা চালু করা হয়।
বর্তমানে, কারখানাটিতে ৬০ জন স্থায়ী কর্মচারী রয়েছেন। ৮-১২ বছরের বেশি সময় সকলেই এখানে কাজ করছেন। আর, অস্থায়ী কর্মী হিসাবে রয়েছেন আরও ৫৭ জন। সূত্রের খবর- সকলেই একযোগে এই ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন।
বরখাস্ত হওয়া কর্মী ভারতী কানন এক প্রতিক্রিয়ায় নিউজক্লিক-কে জানিয়েছেন, ‘কাজে যোগদানের পর প্রায় কয়েক বছর আমরা বেতন-বৃদ্ধির কোনও দাবি তুলিনি। আশা করেছিলাম, কোম্পানিটি ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হলে তারা বেতন বৃদ্ধি করবে। কিন্তু তা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে আমরা যখন আমাদের সমস্যাগুলি পথম উত্থাপন করি, তখন একটি অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সমঝোতা আলোচনা অনুষ্ঠিত হলেও কিছুই ফলপ্রসূ হয়নি। পুরো কমিটিই ম্যানেজমেন্টের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল।’
‘এর ফলে, আমাদের উদ্বেগ বাড়াত থাকে। আমরা ইউনিয়ন গঠন করি। এরপরেই ম্যানেজমেন্ট আমাদের উপর চাপ তৈরি করতে থাকে। শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনছে তারা। আর, ইউনিয়ন গড়ার কারণে আমাদের মধ্যে ৪ জনকে বরখাস্ত করেছে ম্যানেজমেন্ট।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন