দেশের শীর্ষ আদালতে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আর এন রবি। রাজ্যপালের কাজে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে তামিলনাড়ুর সরকারের মন্ত্রী নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি ছিল। তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকারের অভিযোগ, কে পনমুডিকে পুনরায় মন্ত্রিসভাতে যুক্ত করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছেন না রাজ্যপাল আর এন রবি।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, "রাজ্যপালকে মনে রাখতে হবে তিনি একটি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। সংসদীয় গণতন্ত্র অনুযায়ী তাঁকে সমস্ত নিয়ম পালন করতে হবে। একজন ব্যক্তি বা মন্ত্রীর প্রতি তাঁর ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থাকতেই পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সাংবিধানিক কর্তব্যকে অবজ্ঞা করবো। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী যখন ওই ব্যক্তিকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করবেন ঠিক করেছেন তখন রাজ্যপালের উচিত সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা"।
তিনি আরও জানান, "তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আদালত অবমাননা করছেন। যদি আদালতের নির্দেশ পালন না করেন তাহলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো। আমরা সত্যিই তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের কাজ এবং আচরণ দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি। আগামীকালের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে রাজ্যপালকে সংবিধান অনুযায়ী কাজ করার কড়া নির্দেশ দেবো"।
প্রসঙ্গত, কে পনমুডিকে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় মাদ্রাজ হাইকোর্ট। পাশাপাশি ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয় তামিলনাড়ুর প্রাক্তন উচ্চশিক্ষামন্ত্রীকে। গত ১১ মার্চ সেই মামলায় মাদ্রাজ হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি শর্তসাপেক্ষ জামিনও মঞ্জুর হয় কে পনমুডির।
আদালতের রায়ের পরই পুনরায় পনমুডিকে মন্ত্রিসভায় ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেন এম কে স্ট্যালিন। কিন্তু রাজ্যপালের অসহযোগিতার কারণে তা সম্পন্ন হচ্ছে না বলেই ডিএমকে সরকারের অভিযোগ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন