জোট শরিক এআইএডিএমকে ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপির ওপর। বিধানসভা নির্বাচনে ২৩৪ আসনের মধ্যে মাত্র ২০টি আসন জোটসঙ্গী বিজেপিকে ছেড়েছে এআইএডিএমকে। তার মধ্যেই ক্ষমতায় ফিরলে সিএএ বাতিলের দাবি জানানো হবে বলে ইশতেহারে লেখায় বেশ চাপে বিজেপি। একই সঙ্গে শিক্ষাকে যৌথ তালিকা থেকে সরিয়ে রাজ্য তালিকায় আনার দাবিও জানাল তারা। প্রয়াত জয়ললিতার দলের এই সিদ্ধান্তের ফলে বেশ চাপে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তবে এই বিষয়ে বিজেপি এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
তামিলনাড়ুর বিভিন্ন আসনে যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি, তাতে দেখা যাচ্ছে, টিকিট পেয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি এল মুরুগান। কংগ্রেস ছেড়ে সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দেন অভিনেত্রী খুশবু সুন্দর। তিনিও চেন্নাইয়ের থাউজ্যান্ড লাইটস আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার টিকিট পেয়েছেন। মহিলা মোর্চার নেত্রী ভনথী শ্রীনিবাসনকে দক্ষিণ কোয়ম্বত্তুরে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর প্রতিপক্ষ কমল হাসান।
প্রার্থীপদ ঘোষণার পর তামিলনাড়ুর ভারপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা জি কিষান রেড্ডি বলেন, ‘২০১৯-এর লোকসভায় ডিএমকের পক্ষে হাওয়া ছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির উন্নয়ন ও রাজ্যের এআইএডিএমকে সরকারের প্রশাসনিক দক্ষতায় মানুষ খুশি।' হাওয়া উল্টোদিকে ঘুরেছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, ডিএমকে-র পরিবারতন্ত্র, গুণ্ডাগিরিতে আমজনতা ক্ষুব্ধ।
তামিলনাড়ুর পাশাপাশি কেরলেও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। রাজ্যে ১১৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেসও কেরলের বেশিরভাগ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। আগামী ৬ এপ্রিল একযোগে কেরল এবং তামিলনাড়ুতে যথাক্রমে ২৩৪ এবং ১৪০ আসনের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দুই রাজ্যেই ভোট গণনা হবে আগামী ২ মে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন