জাতের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি রেজিস্টার করার জন্য গ্রেটার চেন্নাই কর্পোরেশন (জিসিসি) তাদের একটি নিম্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলো ৷ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় শোরগোল তামিলনাড়ুতে।
সম্প্রতি কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের তিনটি আলাদা আলাদা ব্যাচে বিভক্ত করা হয়। কিন্তু বর্ণানুক্রমের ভিত্তিতে তাদের ভাগ করার পরিবর্তে, শিশুদের জাতের ভিত্তিতে ভাগ করা হয়েছিল। এই ঘটনা জানাজানি হবার পরেই জিসিসি এই স্কুলকে অবিলম্বে এই পদ্ধতি বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সংবাদমাধ্যমে বলেন, এটা অনিচ্ছাকৃত ছিল এবং ছাত্রদের উপস্থিতি রেজিস্টারে আগেও তাদের নামের পাশে জাত লেখা থাকতো। প্রধান শিক্ষিকার দাবি, এই কাজ শুধুমাত্র প্রশাসনিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছিলো এবং শিক্ষার্থীরা তাদের সহপাঠীদের জাতির বিষয়ে কিছুই জানেনা।
গ্রেটার চেন্নাই কর্পোরেশনের ডেপুটি কমিশনার, ডি. স্নেহা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে এবং উপস্থিতি রেজিস্টার সংশোধন করা হয়েছে। মৌখিক তদন্ত অনুসারে এই ঘটনা অনিচ্ছাকৃত ভাবেই হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।"
ডেপুটি কমিশনার আরও বলেন, উপস্থিতি এখন বর্ণানুক্রমিকভাবে বজায় রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন, সহকারী শিক্ষা আধিকারিককে জিসিসির অধীনে থাকা বিদ্যালয়ের উপস্থিতি রেজিস্টার পরীক্ষা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চেন্নাই ভিত্তিক এক সংস্থা, সেন্টার ফর পলিসি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ-এর ডিরেক্টর সি. রাজীব আইএএনএসকে বলেন, "এই ঘটনা দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেছি। জাতির ভিত্তিতে উপস্থিতি রেজিস্টার বজায় রাখার পরে কীভাবে প্রধান শিক্ষিকা নির্দোষ হতে পারেন। সরকার যখন জনগণের মধ্যে জাতপাতের অনুভূতি দূর করতে চেষ্টা করছে, তখন শিক্ষকরা ইচ্ছাকৃতভাবে নাবালক শিশুদের মধ্যে জাতপাতের বিষয়টি ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। যারা এই ধরণের ভুল করছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।"
- with Agency inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন