সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ টাটা মোটরসকে ১১ শতাংশ সুদ সহ প্রায় ৭৬৬ কোটি টাকা দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। তিন সদস্যের আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল সর্বসম্মতিক্রমে টাটা কোম্পানির পক্ষে আজ এই নির্দেশ দিয়েছে।
ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে এক বিবৃতিতে টাটা গোষ্ঠী জানিয়েছে, তিন সদস্যের আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল অবশেষে পশ্চিমবাংলার সিঙ্গুরে অটোমোবাইল কারখানা মামলার নিষ্পত্তি করেছে। ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্য সর্বসম্মতিক্রমে টাটা মোটরসকে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা দেওয়ার জন্য প্রতিপক্ষ পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগমকে (WBIDC) নির্দেশ দিয়েছে। পুরো ক্ষতিপূরণ পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ শতাংশ সুদও দিতে বলা হয়েছে।
টাটা মোটরস আরও জানিয়েছে, এতদিন এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া চালানোর জন্য খরচ বাবদ আরও ১ কোটি টাকা WBIDC-কে দিতে হবে।
২০০৬ সালে পশ্চিমবাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সিঙ্গুরে টাটা গোষ্ঠীর ন্যানো গাড়ি তৈরি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের বেকার যুবকযুবতীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। সেইসময় রাজ্যের বিরোধী দলনেত্রী ছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর তীব্র প্রতিবাদ-অনশনের জেরে ২০০৮ সালের ৩ অক্টোবর সিঙ্গুর থেকে প্রায় ৯০ শতাংশ হয়ে যাওয়া কারখানা তুলে নিতে বাধ্য হয় টাটা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি ছিল, বাম সরকার বলপূর্বক চাষিদের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করেছে। এই সিঙ্গুর আন্দোলনের উপর ভর করেই ৩৪ বছরের বাম সরকারের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যের গদিতে বসে তৃণমূল।
আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনালে তিন সদস্যর বেঞ্চে দীর্ঘদিন এই মামলা চলছিল। মামলাকারী ছিল- টাটা মোটরস লিমিটেড এবং রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম (West Bengal Industrial Developement Corporation)।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন