রাজস্থানের জয়পুরে শ্রী সিমেন্ট গ্রুপে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি আটক করল আয়কর বিভাগ। সূত্র অনুসারে, এই নথির ভিত্তিতে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকার আয়কর জালিয়াতি করা হয়েছে।
আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিযান থেকে বাজেয়াপ্ত করা নথিগুলি পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানা গেছে যে এই সংস্থা প্রতি বছর প্রায় ১,২০০ থেকে ১,৪০০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়ে এসেছে।
আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা গ্রুপের কর মকুবের দাবি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করার পরেই এই অভিযান চালানো হয় বলে আয়কর দপ্তর সুত্রে জানা গেছে।
আয়কর বিভাগের তথ্য অনুসারে, এই বিষয়ে সংস্থার সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা এই প্রসঙ্গিত কোনও তথ্য থাকার কথা অস্বীকার করেন। যদিও আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা জালিয়াতির সাথে সম্পর্কিত স্থানীয় সরপঞ্চ এবং গ্রামবাসীদের সঙ্গে করা বেশ কিছু চুক্তিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছেন।
অভিযানের পর শ্রী গ্রুপের চেয়ারম্যান এইচএন বাঙ্গুর এবং ভাইস চেয়ারম্যান প্রশান্ত বাঙ্গুর না থাকলেও গ্রুপের যুগ্ম সভাপতি অরবিন্দ খীচাকে অভিযানের সময় বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। কিন্তু তিনিও আয়কর কর্মকর্তাদের সামনে হাজির হননি। আয়কর আধিকারিকরা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন।
আয়কর দফতরের জয়পুর অফিসের একটি দল জয়পুর, বেওয়ার, উদয়পুর, আজমির এবং চিতোরগড়ে শ্রী সিমেন্টের ২৪ টিরও বেশি অফিসে অভিযান চালিয়েছে। এই অভিযানে দুই শতাধিক আয়কর কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্য একযোগে কাজ করেছেন।
তথ্যপ্রযুক্তি কর্মকর্তাদের মতে, সিমেন্ট উৎপাদনের জন্য কয়লা কেনাবেচার হিসাবে ব্যাপক গরমিল আছে এবং নতুন প্রযুক্তি ও সফটওয়্যারের সাহায্যে এই জালিয়াতি শনাক্ত করা গেছে।
এর ভিত্তিতেই, আয়কর বিভাগ শ্রী সিমেন্টের দাবিকৃত আয়কর ছাড় এবং প্রকৃতপক্ষে কী বকেয়া ছিল তার মধ্যে পার্থক্য খুঁজে পেয়েছে। তার ভিত্তিতেই কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা আরও বলেছেন যে আরও কয়েকটি সংস্থাও তাদের নজরে রয়েছে এবং তারা শীঘ্রই রিয়েল এস্টেট এবং খনি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সংস্থা এবং অন্যান্য বড় ব্যবসায়ীদের উপর অভিযান চালাতে পারে।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন