পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন রাজ্যগুলি অর্থাৎ ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ঘূর্ণিঝড় অশনির কারণে উষ্ণতার পারদ সাময়িক নীচে নামলেও দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিতে গ্রাফ যথেষ্ট উর্দ্ধমূখী। যার ফলে সারা দেশ জুড়ে বিদ্যুতের চাহিদা কমপক্ষে আরও দুবার সর্বোচ্চস্তরে পৌঁছাতে পারে। যার ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হতে পারে দেশের সাধারণ মানুষ।
সম্প্রতি, সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে এ বিষয়ে আলোকপাত করেছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রকের এক আধিকারিক। তিনি বলেন, গত বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে এবং আইএমডি-র পূর্বাভাস দেখে মনে হচ্ছে জুলাই ও সেপ্টেম্বরে ফের দুই দফায় বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছতে পারে। যে কারণে বিদ্যুৎ মন্ত্রক কয়লা আমদানির উপর জোর দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
তিনি আরও বলেন, সেই সময় যদি কোনও রাজ্যে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দেয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার এর জন্য দায়ী থাকবে। মন্ত্রণালয়ের তরফে বলা হয়, এবার থেকে জেনারেশন কোম্পানিগুলিকে কয়লা পরিবহণের জন্য সড়কপথ ব্যবহার করতে বলা হবে। সাথে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্ল্যান্টগুলোকেও কয়লা আমদানির পরিমাণ বাড়াতে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতবছর ৭ জুলাই সারাদেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ২০০,৫৭০ মেগাওয়াট। কিন্তু সেই রেকর্ড পেরিয়ে এবছর ২৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা দেখা যায় ২০৭,১১১ মেগাওয়াট। আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী জুলাই এবং সেপ্টেম্বর মাসে তাপমাত্রা বাড়তে পারে, যার ফলে সেইসময় বিদ্যুতের চাহিদা আরও বাড়তে পারে। কেন্দ্রীয়মন্ত্রকের কথায়, সেই সময় বিদ্যুতের চাহিদা থাকতে পারে ২১৫,০০০ থেকে ২২০,০০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তথ্যে দেখা গেছে, পশ্চিমবঙ্গসহ আরও ৫ রাজ্য যেমন উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, হরিয়ানা রাজ্যে বরাদ্দের সমপরিমাণ কয়লা উত্তোলন হচ্ছে না। উক্ত রাজ্যগুলি দেরি করে কয়লা উত্তোলন করার ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ কয়লা মজুত না থাকার ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
অন্যদিকে, রেল কর্তৃপক্ষ বলেছে ইতিমধ্যেই নিজেদের ক্ষমতার অনেক বেশি পরিমাণ কয়লা পরিবহণ করা স্বত্বেও তারা চাহিদা মেটাতে পারছে না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন