গর্ভাবস্থাতেই শিশুদের হিন্দুত্ব সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে এবং তাদের সংস্কার শেখাতে হবে। তাই গর্ভবতী মহিলাদের ভগবান রাম এবং হনুমানের জীবনী-সংগ্রামের কথা শোনাতে হবে। এমনই উদ্দেশ্য নিয়ে এবার পথে নামতে চলেছে আরএসএস।
আরএসএস-এর নারী বাহিনী রাষ্ট্রীয় সেবিকা সমিতির একটি শাখা ‘সম্বর্ধিনী ন্যাস’ দেশজুড়ে এই লক্ষ্যে ‘গর্ভ সংস্কার’ নামে একটি অভিযানে নামতে চলেছে। অন্তঃস্বত্ত্বা অবস্থায় কী কী করলে তা গর্ভস্থ শিশুদের সংস্কারী এবং সনাতনী হতে সাহায্য করবে তা শেখানো হবে এই কর্মসূচিতে। এই কর্মসূচীতে গাইনোকোলজিস্ট, আয়ুর্বেদিক ডাক্তার এবং যোগ প্রশিক্ষকরাও থাকবে বলে জানিয়েছেন ন্যাস।
ন্যাসের জাতীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাধুরী মারাঠে এক সংবাদসংস্থাকে এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘গর্ভাবস্থাতেই শিশুদের মধ্যে মূল্যবোধ সঞ্চারিত করার জন্য মা কে গীতা, রামায়ণ ও অন্যান্য স্ত্রোত্র পাঠ করাতে হবে। ভগবান রাম, হনুমানের জীবনী গর্ভস্থ শিশুকে শোনাতে হবে। শিশুদের সংস্কারী করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।‘
তিনি আরও জানান, জিজা মাতা (শিবাজীর মা) এই পদ্ধতি অনুসরণ করেছিলেন। শিবাজীর মতো হিন্দু বীর সন্তানের জন্ম দিতে আন্যান্য মায়েদেরও এটি করতে হবে। গর্ভের বিশুদ্ধতা রক্ষা করতে হবে। অন্তঃস্বত্ত্বা অবস্থা থেকে শিশুর ২ বছর বয়স পর্যন্ত মা ও শিশুকে এই কর্মসূচির অধীনে থাকতে হবে। প্রতি বছর দেশজুড়ে অন্তত এক হাজার মহিলাকে এই অভিযানের আওতায় আনা হবে।
এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছিল ন্যাস। সেখানে বেশ কয়েকজন স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞরাও যোগ দিয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে দিল্লি এইমসের চিকিৎসকরাও ছিলেন।
ওয়ার্কশপে শ্বেতা দাংরে নামের এক চিকিৎসক বলেন, গর্ভাবস্থায় ছেলে হবে না মেয়ে হবে, ভাবতে গিয়েই সমকামী শিশুর জন্ম দিচ্ছে মা।
ন্যাসের দাবি, গর্ভ সংস্কার কর্মসূচি সঠিক ভাবে পালন করলে শিশুর ডিএনএ বদলে যাবে। গর্ভাবস্থায় শিশুরা প্রায় ৫০০ শব্দ শিখে যায়। এই পদ্ধতিতে দেশের পুরনো গৌরব ফিরিয়ে আনবে তাঁরা।
ন্যাসের এই অভিযান এবং চিকিৎসকদের মন্তব্য শুনে স্তম্ভিত ও ক্ষুব্ধ চিকিৎসকদের একটি বড় অংশ। তাঁদের দাবি, এর মাধ্যমে অবৈজ্ঞানিক চিন্তা ছড়ানো হচ্ছে। সুস্থ সন্তানের জন্মের জন্যমায়ের সঠিক পুষ্টির প্রয়োজন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন