শিক্ষক দিবসের দিন নয়াদিল্লীতে বিক্ষোভ দেখানোর সময় আটক করা হল ৩০ জন শিক্ষককে। মধ্য দিল্লির মান্ডি হাউসের কাছে বিক্ষোভ চলাকালীন তাঁদের আটক করা হয়। শিক্ষক এবং অধ্যাপকদের বিভিন্ন সংগঠন জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০, প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ কমানোর প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন।
বৃহস্পতিবার শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে একাধিক কেন্দ্রীয় ও রাজ্যস্তরের সংগঠনের পক্ষ থেকে এদিন যৌথ শিক্ষক ছাত্র বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। মান্ডি হাইস থেকে যন্তর মন্তর পর্যন্ত এই মিছিল হবে বলে জানানো হয়েছিল।
এই মিছিলে অধ্যাপক সংগঠন ছাড়াও দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়, আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয় এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এদিনের মিছিলে যোগ দেবার জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন।
শিক্ষকদের আটক করা প্রসঙ্গে ফেডারেশন অফ সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (FEDCUTA)-এর পক্ষে থেকে জানানো হয় তাঁদের জোর করে আটক করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা যখন মান্ডি হাউস অঞ্চলে বিক্ষোভ মিছিলের জন্য জমায়েত হচ্ছিলেন তখনই তাঁদের পুলিশ আটক করে।
এই প্রসঙ্গে ফেডকুটার প্রেসিডেন্ট মৌসুমী বসু জানিয়েছেন, পুলিশ আমাদের যন্তর মন্তরে নামাতে পারত। কিন্তু তা না করে আমাদের গুরুগ্রাম সীমানার কাছে কাপাসেরা পুলিশ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সংগঠনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মৌসুমী বসু ছাড়াও সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি নন্দিতা নারায়ণ, ডি কে লোবিয়াল এবং রাজীব রায়কে আটক করা হয়েছে।
যদিও পুলিশ শিক্ষকদের আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শিক্ষকদের আটক করার প্রসঙ্গে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, শিক্ষকদের বিক্ষোভ দেখানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা দূতাবাস অঞ্চলের দিকে যাবার চেষ্টা করছিলেন। ফলে বাধ্য হয়ে পুলিশ তাঁদের আটক করে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন