তিস্তা শীতলাবাদের জামিন খারিজ করে দিল গুজরাট হাইকোর্ট। শনিবার তিস্তা শীতলাবাদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে তাঁকে ‘অবিলম্বে আত্মসমর্পণ’ করার নির্দেশ দিয়েছে গুজরাট হাইকোর্ট।
২০০২ গুজরাট দাঙ্গার তথ্য বিকৃতি ঘটিয়েছেন তিস্তা শীতলাবাদ। এই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে গুজরাট এটিএস। ২০০২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান। তখন থেকেই তিনি জামিনে মুক্ত আছেন।
শনিবার বিচারপতি নির্জর দেশাই এই নির্দেশ দেবার পর আইনজীবী মিহির ঠাকোরে আদালতের কাছে এই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য ৩০ দিন সময়ের আবেদন করলেও আদালত সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি।
গতবছরের জুন মাসের ২৫ তারিখ গুজরাট পুলিশ আহমেদাবাদ ডিটেকশন অফ ক্রাইম ব্রাঞ্চ (ডিসিবি)-র করা এফআইআর-এর ভিত্তিতে তিস্তা শীতলাবাদকে গ্রেপ্তার করে। সাত দিন পুলিশি হেফাজতে থাকার পর ২ জুলাই তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়।
প্রাক্তন আইপিএস আর বি শ্রীকুমার এবং তিস্তা শীতলাবাদকে শীর্ষ আদালতে জাকিয়া জাফরির আনা আবেদন খারিজ হয়ে যাবার পরেই গ্রেপ্তার করা হয়।
তিস্তার গ্রেফতারির আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, তিনি কোর্টের রায় শুনেছেন। দাঙ্গার পর তিস্তা বা তাঁর এনজিওর তরফ থেকে সিটকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল । সেই সমস্ত কিছু সুপ্রিম কোর্টের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। তাই কোর্ট নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দিয়েছে। কোর্টের তরফ থেকে এও বলা হয় ট্রেনে আগুন লাগানোর পর তৎকালীন সরকার শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করেছিল। ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো দাঙ্গা বাধানো হয়নি।
তিস্তার বিরুদ্ধে এফআইএর করা হয় গুজরাট পুলিশের পক্ষ থেকে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৯৪ (মিথ্যা প্রমাণ দেওয়া বা জাল করা), ২১১ (ঘটনার মিথ্যা অভিযোগ), ২১৮ (জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ভুল তথ্য প্রদান), ৪৭১ (ভুল নথি সত্য বলে চালানো) এবং ১২০বি (অপরাধী মূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন