সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন সমাজকর্মী তিস্তা শীতলাবাদ। আজ দুপুর দুটোয় এই মামলার শুনানি ছিল। গত ২৬ জুন থেকে তিনি হেফাজতে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে গুজরাট হিংসা ২০০২-এর নথি জাল করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁকে এই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের কাছে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে।
শুক্রবার শীর্ষ আদালতে প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তিস্তা শীতলাবাদের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের নির্দেশ দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি ললিত ছাড়াও এই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং বিচারপতি সুধাংশু ঢুলিয়া।
উল্লেখ্য, গুজরাট হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে তিস্তা শীতলাবাদ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এর আগে গুজরাট হাইকোর্ট তাঁকে জামিন দিতে অস্বীকার করে। গত ২৬ জুন মুম্বাই থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তিস্তাকে। গুজরাট পুলিশের এটিএস তাঁকে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৬৮, ১৯৪, ২১১, ২১৮ এবং ১২০বি অনুসারে গ্রেপ্তার করে। সুপ্রিম কোর্ট জাকিয়া জাফরির আনা মামলা খারিজ করে দেবার পরের দিনেই গ্রেপ্তার হন তিস্তা।
গতকাল এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের বেঞ্চ এই মামলার পর্যবেক্ষণে বলেন, এখানে ইউএপিএ-র মত এমন কোনো অপরাধ নেই যাতে জামিন মঞ্জুর করা যায় না। বিশেষ করে তিনি যখন একজন মহিলা। তিনি দু’মাস ধরে জেলে আছেন এবং এখনও পর্যন্ত চার্জশীট দাখিল করা হয়নি।
গত ৩ আগস্ট জামিনের আবেদন করেছিলেন তিস্তা শীতলাবাদ। যে জামিনের শুনানির দিন স্থির হয়েছে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর। যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত। তিনি বলেন, কীভাবে কোনো জামিনের আবেদনে
ছ’সপ্তাহ সময় নেওয়া যেতে পারে?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন