Jahangirpuri: কেন্দ্রের 'বুলডোজার সংস্কৃতি'র প্রতিবাদে তেজস্বী যাদব

নরেন্দ্র মোদি সরকারের "বুলডোজার সংস্কৃতি"-র নিন্দা করলেন RJD-র শীর্ষ নেতা তেজস্বী যাদব। দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরী ও অন্যান্য BJP-শাসিত রাজ্যে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের নির্মাণ ভাঙার অভিযোগ তেজস্বীর৷
তেজস্বী যাদব
তেজস্বী যাদব ফাইল ছবি, ট্যুইটারের সৌজন্যে
Published on

নরেন্দ্র মোদি সরকারের "বুলডোজার সংস্কৃতি"-র নিন্দা করলেন আরজেডি-র শীর্ষ নেতা তেজস্বী যাদব। দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরী এবং অন্যান্য বিজেপি-শাসিত রাজ্যে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের কাঠামো ভেঙে ফেলার অভিযোগ এনেছেন তেজস্বী৷

এদিন তেজস্বী বলেন, "চীন ভারতীয় ভূখণ্ডে দুটি গ্রাম তৈরি করেছে। কিন্তু কেন্দ্র এই সম্পর্কে কোনও কিছু বলতে ভয় পায়, সেগুলো ভেঙে ফেলার কথা ভুলে যায়। তারা কি আদৌ জাতীয় স্বার্থ, ঐক্য, অখণ্ডতা এবং সংবিধান নিয়ে চিন্তিত নাকি একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের উপর বুলডোজার চালাতে চাইছে?" "

তেজস্বীর প্রশ্ন, যদি (জাহাঙ্গীরপুরী) অবৈধ নির্মাণ হয়ে থাকে, তাহলে এখনও পর্যন্ত সরকার এবং প্রশাসন কী করছিল?"

তার বড় ভাই তেজ প্রতাপ যাদবও "বুলডোজার সংস্কৃতি" নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন এবং টুইটারে #stopbulldosinghouses প্রচার শুরু করেছেন।

আরজেডি সহ-সভাপতি শিবানন্দ তিওয়ারিও দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরী, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিওয়ারি রাম নবমী এবং হনুমান জয়ন্তীর সময় সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়ানোর জন্য বিজেপিকে অভিযুক্ত করেছেন এবং এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং নিন্দনীয় বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি আরও বলেছেন, "যদিও বিহারের কোনো অংশে এর প্রভাব দেখা যায়নি, বিজেপি বা এনডিএ সরকার যদি আমাদের রাজ্যে বুলডোজার সংস্কৃতি বেছে নেয়, তাহলে আরজেডি সমর্থকরা এর সামনে দাঁড়াবে। আমরা আমাদের রাজ্যে এই ধরনের সংস্কৃতির বিকাশ হতে দিতে পারি না।"

এই প্রসঙ্গে নীরজ কুমার, জেডি (ইউ) এমএলসি এবং দলের প্রধান মুখপাত্র জানিয়েছেন, "মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক। তিনি কখনই রাজ্যে কোনও সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেন না। তাঁর শাসনকালের শেষ ১৭ বছরে নওয়াদা জেলায় একটি মাত্র ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিহারে বিজেপির সঙ্গে জোটে আছি কিন্তু নীতিশ কুমার রাজ্যের শাসনে তাদের হস্তক্ষেপের অনুমতি দেয় না।"

নীরজ কুমার আরও বলেন, "আমাদের দল এবং আমাদের মুখ্যমন্ত্রী দেশের বিচার বিভাগ ও সংবিধানে বিশ্বাস করেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করেন। আমরা শুধু বিচার বিভাগীয় বুলডোজারের কথা জানি। যদি কোনো বেআইনি নির্মাণ হয়ে থাকে, তাহলে আদালতের নির্দেশে তা ভেঙে ফেলা হবে।"

এদিকে বিজেপি নেতারা দাবি করেছেন, দিল্লি ও অন্যান্য রাজ্যে যা কিছু হয়েছে, তা আদালতের নির্দেশেই হয়েছে। গেরুয়া পার্টির নেতাদের দাবি, সেগুলি জনগণের দ্বারা দখলকৃত অবৈধ নির্মাণ ছিল এবং তাই ভেঙে ফেলা হয়েছিল।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in