অবশেষে ভারতীয় রেলের জমি সংক্রান্ত একটি দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা রাষ্ট্রীয় জনতা দল নেতা তেজস্বী যাদব, রাষ্ট্রীয় জনতা দল প্রতিষ্ঠাতা লালু প্রসাদ যাদব এবং বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা লালুপত্নী রাবড়ি দেবী। বুধবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের অ্যাডিশনাল সেশনস জাজ গীতাঞ্জলী গোয়েল গোটা যাদব পরিবারকে জামিন দিয়েছেন।
বুধবার জামিন পাওয়ার পর লালুপুত্র তেজস্বী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, “এটা পরিস্কার রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছিল। দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থার আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা ছিল। আর আমরা আমাদের সুবিচার পেয়েছি।” তিনি জানিয়েছেন যে, যখন এই রেলওয়ে জমি সংক্রান্ত দুর্নীতি ঘটেছিল তখন তিনি ছাত্র ছিলেন এবং দিল্লির আরকে পুরম এলাকায় পড়াশোনা করতেন।
তেজস্বী জানিয়েছেন, “এটা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র। আজ আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংয়ের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান করা হয়েছে। কাল আবার সংবাদমাধ্যমের অন্দরমহলেও হানা দেওয়া হয়েছে। এগুলো সবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
তেজস্বী আরও বলেন, “যদি আপনি নিজে সত্যি কথা বলেন এবং শাসক গোষ্ঠীর কাছেও সেটাই জানতে চান, তাহলে তো এরকম ঘটনা ঘটবেই। গত বছর যখন আমাদের সরকার ক্ষমতায় এসেছিল আমি তারপর থেকে একাধিকবার বলেছি যে সরকার গঠনের দিনই আমি এই হানা-তল্লাশির অভিযান শুরু হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম। এই মামলার চার্জশিটের কোথাও আমার নাম ছিল না কিন্তু অতিরিক্ত চার্জশিটে আমার নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
সরাসরি বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি জানালেন, “বিজেপির বিরোধিতা করলে তো এটাই হবে। আর বিজেপির ছাতার তলায় আশ্রয় নিলে সব পরিস্কার হয়ে যাবে।”
গত ২২ সেপ্টেম্বর এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে দিয়ে একটি নতুন করে চার্জশিট তৈরি করিয়ে লালু-সহ অন্যান্যদের বিচারে হস্তক্ষেপ করেছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। সেই মামলার শুনানিতেই বুধবার লালু, তেজস্বী ও রাবড়ি দেবী ছাড়াও জামিন পেয়েছেন লালুপ্রসাদ ও রাবড়ি দেবীর কন্যা তথা আরজেডির লোকসভা সাংসদ মিসা ভারতী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন