বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের ধাক্কা তেলেঙ্গানার শাসক শিবিরে। শুক্রবার একইসঙ্গে দল ছাড়লেন দুই হেভিওয়েট নেতা-নেত্রী। একজন ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লি গিয়ে যোগ দিয়েছেন বিরোধী কংগ্রেস শিবিরে। একই দিনে পরপর দলের দুই বিশিষ্ট নেতা-নেত্রীকে খুইয়ে খানিক ব্যাকফুটে মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের মধ্যে একের পর এক ফাটল বিআরএস-কে তেলেঙ্গানার সিংহাসন ধরে রাখার ক্ষেত্রে বেশ বিপাকে ফেলবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
শুক্রবার একসঙ্গে ভারত রাষ্ট্র সমিতি (BRS) ছাড়লেন তেলেঙ্গানা বিধান পরিষদের সদস্য কাসিরেড্ডি নারায়ণা রেড্ডি এবং খানাপুর কেন্দ্রের বিধায়ক আজমীরা রেখা। আসন্ন ভোটে দলের টিকিট না পেয়ে অনেকটা ‘অভিমান’ নিয়ে শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন বিধায়ক রেখা। অন্যদিকে, প্রাথমিকভাবে কোনোরকম ইঙ্গিত না দিয়ে শুক্রবার একেবারে সরাসরি নয়াদিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়্গে ও প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি রেভান্থ রেড্ডির উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন নারায়ণা রেড্ডি। তাঁর সঙ্গে তেলেঙ্গানার নাগারকুরনুল প্রদেশের আরও বেশ কয়েকজন বিআরএস নেতাও এদিন কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।
শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিমান উগরে দিয়ে আজমীরা রেখা জানিয়েছেন, “আমি গত ১২ বছর ধরে এই দলের হয়ে কাজ করছি। এত বছরে আমি যে সেবা করেছি, সেটা মানুষকে বলব। আমিও এবারে আমার শক্তি দেখাব। আমি দলকে ঠকাইনি, দলই আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আমি বিআরএস দল ত্যাগ করছি।” চোখে জল নিয়ে রেখা আরও জানিয়েছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে হয় তিনি একক ক্ষমতায় লড়বেন, নাহলে অন্য কোনও দলের হয়ে নির্বাচনের ময়দানে নামবেন। তবে সূত্রের খবর, রেখারও কংগ্রেসে যোগ দেওয়া প্রায় নিশ্চিত।
অন্যদিকে, দিল্লিতে গিয়ে খাড়্গের হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তেলেঙ্গানা বিধান পরিষদের সদস্য নারায়ণা রেড্ডি। বিধান পরিষদের সদস্য হিসেবে এখনও চারবছরের মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে জানিয়েছেন, কংগ্রেস আসন্ন নির্বাচনের জন্য যে ছটি প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছে, সেগুলি রাজ্যের মানুষের জন্য উপকারী হবে বলেই তাঁর অনুগামীরা তাঁকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। তিনি সেই পরামর্শে গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি, দলের (কংগ্রেস) তরফে তাঁকে নির্বাচনে প্রার্থী করা হলে তিনি ভোটে লড়তেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন রেড্ডি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন