মধ্যরাতে নাটকীয়ভাবে তেলেঙ্গানার বিজেপির রাজ্য সভাপতি বান্দি সঞ্জয় কুমারকে (Bandi Sanjay Kumar) ঘুম থেকে তুলে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, বুধবার, রাত ১২টা ৪৫ মিনিট নাগাদ করিমনগর শহর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় বিশাল পুলিশ বাহিনী বাড়ি ঘিরে ফেলে। পুলিশ অফিসারেরা তাদের সাথে সঞ্জয়কে থানায় আসতে বললে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতি সঞ্জয় কুমারকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, এই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা সেখানে জড়ো হয়। তাঁরা সঞ্জয়ের গ্রেফতারি প্রতিরোধের চেষ্টা করে। সহকারী পুলিশ কমিশনার টি. শ্রীনিবাস রাও-য়ের নেতৃত্বে একটি বাহিনী সঞ্জয়কে পুলিশের গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায়।
প্রাথমিকভাবে তাঁকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা স্পষ্ট ছিল না। পরে বিজেপি নেতাকে বোম্মলারামরাম থানায় স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেও বিজেপি নেতা-কর্মীরা স্টেশনে পৌঁছে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান।
জানা যাচ্ছে, তেলেঙ্গানায় মঙ্গলবার, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (দশম শ্রেণির) পরীক্ষা ছিল। তাতে হিন্দি প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যায়। ওয়ারাঙ্গাল থেকে তিন ব্যক্তিকে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের একজন বিজেপি রাজ্য সভাপতির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার তদন্তেই পুলিশ বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, তেলেঙ্গানা স্টেট পাবলিক সার্ভিস কমিশন (TSPSC) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলায় নাম জড়িয়েছে বিজেপি সভাপতি সঞ্জয়ের। তদন্তে হাজিরা দেওয়ার জন্য তাঁকে দুবার নোটিশ পাঠিয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। কিন্তু তিনি SIT-এর সামনে হাজির হননি এবং পরিবর্তে আইনি দল নিযুক্ত করেছিলেন। সেই মামলার জন্যেও বিজেপির রাজ্য সভাপতি বান্দি সঞ্জয় কুমারকে গ্রেফতার করা হয়ে থাকতে পারে বলে খবর।
মাত্র দু’দিন পরেই তেলেঙ্গানা সফরে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। হায়দরাবাদ ছাড়াও রাজ্যের আরও এক জায়গায় তাঁর সভা করার কথা। মাস কয়েক পরই তেলেঙ্গানায় বিধানসভার ভোট। এই পেক্ষাপটে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বান্দি সঞ্জয় কুমারকে গ্রেফতার, রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন