প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার ছয় ঘণ্টার সফরে হায়দ্রাবাদে এসেছেন। কিন্তু তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে. চন্দ্রশেখর রাও তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে আসেননি। রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাজ্যপাল তামিলিসাই সুন্দররাজন, কেন্দ্রীয় পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি এবং পশুপালন প্রতিমন্ত্রী তালাসানি শ্রীনিবাস যাদব প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। মুখ্যসচিব সোমেশ কুমার, ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ এম মহেন্দ্র রেড্ডি এবং অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরাও প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে মঞ্চ ভাগাভাগি করারও সম্ভাবনা নেই। প্রসঙ্গত, শামশাবাদের কাছে মুচিন্তালে ২১৬ ফুট উচ্চতার ‘স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি’ উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে অবতরণের পর প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে পাতনচেরু রওনা হন। প্রধানমন্ত্রী, ইন্টারন্যাশনাল ক্রপ রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর সেমি-অরিড ট্রপিক্স (ICRISAT)-এর সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। পাশাপাশি ICRISAT-এর ক্লাইমেট চেঞ্জ রিসার্চ ফ্যাসিলিটি অন প্ল্যান্ট প্রোটেকশন ও র্যাপিড জেনারেশন অ্যাডভান্সমেন্ট ফ্যাসিলিটি চালু করবেন। এছাড়াও একটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা লোগো ও একটি স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করার কথা প্রধানমন্ত্রীর।
ICRISAT-এ অনুষ্ঠানের পরে, প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। তারপর সড়কপথে মুচিন্তালে চিন্নাজির আশ্রমের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। সেখানে তিনি ৩ ঘণ্টা কাটাবেন পূজায় অংশ নিতে এবং সাধু রামানুজাচার্যের মূর্তি উন্মোচন করবেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিজেপিকে আক্রমণ করে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে সি আর বলেছিলেন, “সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে নির্লজ্জের মতো মিথ্যা কথা বলে। বারবার সেই মিথ্যার পুনরাবৃত্তি করে এতদিন জনগণকে বোকা বানিয়ে এসেছে বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকার। কিন্তু এখন সেই মিথ্যা প্রকাশ পেয়েছে। ঘৃণা এবং বিভাজন ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে রাজনীতি করছে তারা।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন