সোমবার ছিল এনসিপির প্রতিষ্ঠা দিবস। দলকে শুরু থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠা দিবসে কাকা শরদ পাওয়ারকে ধন্যবাদ জানান মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে অজিত পাওয়ার নিজের একাধিক অনুগামী বিধায়ক নিয়ে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন শিবসেনা-বিজেপি জোট সরকারে যোগ দেন। এর ফলে বিভক্ত হয়ে যায় এনসিপি। শরদ পাওয়ার গঠন করেন এনসিপি (শরদ পাওয়ার)।
সোমবার একটি অনুষ্ঠানে ভাইপো অজিত পাওয়ার শরদ পাওয়ারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আমি শরদ পাওয়ারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ গত ২৪ বছর ধরে উনি পার্টিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পাশাপাশি, যাঁরা শুরু থেকে দলের সাথে ছিলেন, তাঁদেরকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই।“
চলতি লোকসভায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ–র সঙ্গে জোট বেঁধে মহারাষ্ট্রে চারটি আসনে লড়েছিল অজিতের এনসিপি। কিন্তু মাত্র একটি আসনে জয়লাভ করেছে তাঁরা। বারামতি আসনে অজিতের স্ত্রী সুনেত্রা পাওয়ারকে হারতে হয়েছে অজিতের বোন তথা শরদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া শোলের কাছেও। অন্যদিকে, শরদ পাওয়ারের দল জিতেছে আটটি আসন।
এই হারের জন্য তিনি বিরোধীদের দায়ী করেছেন। অজিতের দাবি, নির্বাচনের সময় বিরোধীরা এনসিপি এবং সরকারের বিরুদ্ধে একটি নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করার চেষ্টা করেছে। দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলির সমাধান করা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
অন্যদিকে, রবিবার মোদী গঠন হয়েছে নয়া মন্ত্রিসভা। ৭২ জন মন্ত্রী নিয়ে তৈরি হয়েছে নয়া মন্ত্রিসভা। কিন্তু সেই মন্ত্রিসভায় নেই বিজেপির শরিক এনসিপি। এবিষয়ে যা জানা যাচ্ছে, অজিত মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রীর দাবি করেছিলেন। কিন্তু একটি মাত্র আসনে জয়লাভ করার ফলে প্রতিমন্ত্রী করার কথা জানিয়েছিল বিজেপি। আর তাতে রাজি হননি অজিত। অন্যদিকে পূর্ণমন্ত্রী পাননি মহারাষ্ট্রে এনডিএ-র আর এক শরিক শিবসেনা (শিন্ডে)। এই দুইয়ের সাথে সম্প্রতি কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে বিজেপির। এরই মাঝে অজিতের এই মন্তব্যে অন্য জল্পনা তৈরি হয়েছে।
তাহলে কি ফের শরদ শিবিরে ফিরতে চলেছেন অজিত? যদিও সোমবার সেই জল্পনা উড়িয়ে অজিত জানান, তিনি এখনও এনডিএ-র সাথেই আছেন। পাশাপাশি, তিনি আরও দাবি করেন, “বর্তমানে এনডিএ-র হাতে ২৯২ আসন রয়েছে। আগামী মাসের মধ্যে সেটা ৩০০ পেরোবে।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন