২০০০ টাকার নোট বাতিল নিয়ে আবার মোদী সরকারকে বিঁধেছেন কংগ্রেসের প্রবীণনেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম (P. Chidambaram)। সোমবার, তিনি বলেন - ২০০০ টাকার নোট শুধুমাত্র কালো টাকার রক্ষকদের সহজে তাদের টাকা মজুত করতে সাহায্য করেছে।’
টুইটারে চিদাম্বরম জানান, ‘ব্যাঙ্কগুলি স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ২০০০ টাকার নোট পরিবর্তন করতে কোনও পরিচয়, ফর্ম এবং কোনও প্রমাণ পত্রের প্রয়োজন হবে না।’ এই প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘২০০০ টাকার নোট কেবল কালো টাকার রক্ষকদেরই সাহায্য করেছে। আর, এখন সেই ২০০০ টাকার নোট পরিবর্তনের জন্য কালো টাকার রক্ষকদের রেড কার্পেটে স্বাগত জানানো হচ্ছে!’
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ মানুষ এই নোট খুব বেশি ব্যবহার কখনই করেননি। সাধারণ মানুষের কাছে ২০০০ টাকার নোট নেই। ২০১৬ সালে এটি চালু হওয়ার পরই তারা এটি পরিত্যাগ করেছে। কারণ, প্রতিদিনের খুচরা বিনিময়ের ক্ষেত্রে এটি সমস্যার ছিল।’ এরপরেই তিনি প্রশ্ন তোলেন – ‘তাহলে, কারা এই ২০০০ টাকার নোট রেখেছে এবং ব্যবহার করেছে? উত্তরটা আপনারা জানেন।’
‘কালো টাকা নির্মূল করার কথা বলে এসব করেছিল সরকার। ২০১৬ সালে ২০০০ টাকার নোট চালুর করার সিদ্ধান্তটি ছিল একটি ভুল পদক্ষেপ। তবে, আমি আনন্দিত যে মূর্খতাপূর্ণ পদক্ষেপটি অন্তত ৭ বছর পরে হলেও প্রত্যাহার করা হচ্ছে।’
গত ২০ মে- শনিবার, ২০০০ টাকার নোট জমা করার বিষয়ে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI) একটি ‘ক্ল্যারিফিকেশন’ (clarification) জারি করার পরেই এই মন্তব্য করেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম।
একটি সার্কুলারে SBI জানিয়েছে, কোনও ব্যক্তি যদি একসঙ্গে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ২০০০ এর নোট জমা করেন, তাহলে তাঁদের কোনও রিকুইজিশন ফর্ম পূরণ করার প্রয়োজন হবে না।
গত ১৯ মে, বিজ্ঞপ্তি জারি করে- প্রচলিত ২০০০ নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। একইসঙ্গে, ব্যাঙ্কগুলিকে ২০০০টাকার নোট গ্রাহককে আর না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বলা হয়, ২৩ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ২০০০ হাজার টাকার নোটগুলি ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে, বিনিময় মূল্য নেওয়া যাবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন