কৃষক আন্দোলন প্রতিহত করতে আরও কড়া পদক্ষেপ নিল হরিয়ানা প্রশাসন। সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ তুলে অভিযুক্ত কৃষকদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা শুরু করলো হরিয়ানা পুলিশ। প্রশাসনের দাবি কৃষক আন্দোলন শুরু হওয়ার আগেই এই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন সংগঠনকে।
পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার মধ্যে থাকা শম্ভু বর্ডারে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। তাঁরা নিজেদের দাবি নিয়ে 'দিল্লি চলো'র ডাক দিয়েছেন। কিন্তু হরিয়ানা পুলিশের বিরুদ্ধে শম্ভু সীমান্তে তাঁদের আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে কৃষকদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয় শুরু করলো প্রশাসন। অম্বালা থানার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, এই আন্দোলনে বেশ কয়েকজন কৃষক রয়েছেন যাঁরা অতিসক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। অনেকে পুলিশের লাগানো ব্যারিকেড ভেঙেছেন, পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়েছেন। মূলত আইনশৃঙ্খলা ভাঙার চেষ্টা করেছেন। যার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে।
ওই বিবৃতেই বলা হয়েছে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষক আন্দোলন শুরু হওয়ার আগেই প্রশাসন কৃষক নেতাদেরকে নোটিশ দিয়েছিল। সেখান সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার বিষয় উল্লেখ করেছিল। সেই মতোই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা শুরু করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি প্রশাসন জানায়, যে সকল কৃষক নেতা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভুয়ো খবর সম্প্রচার করছেন তাঁদের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, কৃষকদের সাথে সংঘর্ষের কারণে ২ জন পুলিশ আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছে। ৩০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। একজনের মাথায় আঘাত রয়েছে।
পুলিশ প্রথমে প্রতিবাদী কৃষক নেতাদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন, ১৯৮০-র অধীনে পদক্ষেপ নেবে বলে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু পরে তীব্র সমালোচনার জেরে তা প্রত্যাহার করে নেয় প্রশাসন।
অন্যদিকে কৃষক আন্দোলন চলাকালীন এখনও পর্যন্ত চার কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। এবং আর এক কৃষক পুলিশের সাথে সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন