একদিকে উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনকে সামনে রেখে সংসদে সংরক্ষণ বিল পাশ হয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারিকরণে পাকাপাকি ভাবে বিলোপ ঘটছে চাকরির সংরক্ষণে। চলতি বছরেই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব শিল্পে বেসরকারিকরণের বড় কাজটি সেরে ফেলা হবে। এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রকের ডিপার্টমেন্ট অফ ইনভেসমেন্ট এন্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সচিব তুহিনকান্তি দুবে।
টুইট করে তিনি জানান, বেসরকারিকরণ আবার সঠিক পথে ফিরছে। এবছর বিক্রি করা হবে এয়ার ইন্ডিয়া ও ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন। এবারের তালিকায় রয়েছে আরও ৩৫তি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। নিলামে তোলার কাজ এই বছরই শেষ হবে। মোট ১৭১টি রাষ্ট্রায়ত্ত লাভজনক সংস্থা বিক্রি করা হবে।
এই বেসরকারিকরণ নীতির তীব্র সমালোচনা করে সীতারাম ইয়েচুরির প্রশ্ন, দেশের মহারত্ন, নবরত্ন, মিনিরত্ন-সহ ১৭১টি সংস্থা যখন ২০১৯-২০ সালে লাভ করেছে, তাহলে তাদের বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে কেন? এর অর্থ হল জাতীয় সম্পদ লুট করা হচ্ছে এবং জনগণের থেকে অর্জিত সম্পদ মুনাফাকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, এর ফলে বিলাপ হবে চাকরির সংরক্ষণ প্রক্রিয়া। আরও কর্মসংস্থান কমবে। সংরক্ষণ বিল পাশ হলেও বেসরকারিকরণে সংরক্ষণ প্রক্রিয়া উঠে যাবে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় সরক্ষণের যে বিশেষ জায়গা ছিল, তা বেসরকারিকরণে উঠে যাবে। শ্রমিক সংগঠনের আশঙ্কা, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থায় যে ৯ লক্ষের বেশি দক্ষ কর্মী আছেন, বেসরকারিকরণে সেই কর্মীসংখ্যা হ্রাস পাবে।
তুহিন কান্তি দুবে বলেন, শেয়ার বিক্রি করে পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা তোলা হবে বলে স্থির হয়েছে। নীতি আয়োগের তালিকায় মোট ১৭১টি সংস্থা লাভজনক। নীতি আয়োগ জানিয়েছে, বিক্রি করতে হলে লাভজনক সংস্থাই বিক্রি করতে হবে। লোকসানে চলা কোনও সংস্থাকে কেউ কিনবে না। তাই লাভজনক সংস্থাই বিক্রি করা হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন