শেষ দু'বছরে ২ হাজার টাকার একটিও নোট ছাপানো হয়নি। সোমবার সংসদে এক লিখিত বিবৃতিতে চাঞ্চল্যকর একথা জানালো অর্থমন্ত্রক। ২০১৬ সালে ডিমোনিটাইজেশনের পর নতুন যে ২ হাজার টাকার নোট ছাপানো হয়েছিল, তার খুব কম সংখ্যক এই মুহূর্তে বাজারে চালু রয়েছে। এমডিএমকে সাংসদ এ গণেশমূ্র্তির করা এই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর একথা জানিয়েছেন।
লোকসভায় অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ২০০০ টাকার একটিও নোট ছাপানোর জন্য মুদ্রণযন্ত্রে পাঠানো হয়নি। তাঁর কথায়, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সাথে পরামর্শ করেই জনগণের লেনদেনের সুবিধার জন্য যা করা উচিত তাই করেছে সরকার। এই পদক্ষেপ জনগণের কাছে সুবিধাজনক হয় কিনা তা দেখার জন্যই ২০১৯ এবং ২০২০ সালে ২ হাজার টাকার কোনো নোট ছাপানো হয়নি।
২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে ডিমোনিটাইজেশনের মাধ্যমে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিয়ে ২০০০ টাকার নোট চালু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথম দিকে এই নোটের ব্যবহার হলেও ধীরে ধীরে তা কমছে। তিন বছর আগে বাজারে প্রায় ৩৩,৬২০ লক্ষ ২ হাজার টাকার নোট চালু ছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে সেই সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪,৯৯০ লক্ষে। অর্থাৎ জনগণ বড় নোটের ব্যবহার কমাচ্ছেন। সেই কারণেই ২০১৯ সালের এপ্রিলের পর থেকে ২ হাজার টাকার কোনো নোট আর ছাপায়নি সরকার।
এক লিখিত উত্তরে অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, ২০০০ টাকার ৩,৩৬২ মিলিয়ন কারেন্সি নোট ২০১৮ সালের ৩০ মার্চ বাজারে ছিলো। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১-এর হিসেব অনুসারে এখন বাজারে ২০০০ টাকার কারেন্সি নোট আছে ২,৪৯৯ মিলিয়ন।
এই প্রসঙ্গে ২০১৯ সালে আরবিআই সূত্রে জানা গেছিলো ২০১৬-১৭ সালে ৩,৫৪২.৯৯১ মিলিয়ন ২০০০ টাকার নোট ছাপানো হয়েছিলো। ২০১৭-১৮ সালে ছাপানো হয় ১১১.৫০৭ মিলিয়ন। ২০১৮-১৯ সালে ছাপানো হয় ৪৬.৬৯০ মিলিয়ন ২০০০ টাকার নোট। এপ্রিল ২০১৯-এর পর থেকে আর কোনো ২০০০ টাকার নোট ছাপানো হয়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন