মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে যে লকডাউনের নির্দেশ জারি হয়েছে, তা এখনও মেনে চলেছে কেরল। এই বিষয়ে কোনও দ্বিমত পোষণ করতে পারেনি কোনও মন্ত্রীও। এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
বিজয়ন জানিয়েছেন, রাজ্য একেবারেই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েই প্রত্যেকটি পদক্ষেপ করছে। আইসিএমআর-এর সেরো প্রিভেল্যানস সমীক্ষায় কোভিড নিয়ন্ত্রণে কেরল বৈজ্ঞানিক উপায় অবলম্বন করেছে। রাজ্যের ৫৮ শতাংশ মানুষ কখনই ভাইরাসের সংস্পর্ষে আসেনি। কেরলেই ৩৭.৩৮ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ ও ২৬.৩৯ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে নিয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে যার পরিমাণ ২৬.৩৯ শতাংশ। রাজ্যের ১০০ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী ভ্যাকসিনের একটি ও ৮২ শতাংশ ভ্যাকসিনের ২ টি ডোজ দিয়ে ফেলেছেন।
বিজয়ন জানান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ভ্যাকসিন বিতরণ নিয়ে যে মন্তব্য করছেন, বাস্তবটা ঠিক তেমন নয়। কেরলকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়া কখনই উচিত নয়। কেরলের মতো জনঘনত্ব রাজ্যে মহামারী নিয়ন্ত্রণ চ্যালেঞ্জের সামিল। রাজ্যের ১৪ শতাংশ মানুষই প্রবীণ নাগরিক। ডায়াবেটিসের রাজধানী বলা হয় কেরলকে। এতকিছুর পরও রাজ্যের মানুষের জীবন মহামারীর হাত থেকে বাঁচাতে সম্ভব হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিধিনিষেধের কারণেই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন