২৪ বছরের পুরানো একটি মানহানির মামলায় বিশিষ্ট সমাজকর্মী মেধা পাটকরকে ৫ মাসের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল দিল্লির সাকেত আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনাকে এই ক্ষতিপূরণ দেবেন মেধা পাটকর।
উল্লেখ্য, নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন নিয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশের জন্য ২০০০ সালে বিনয় কুমার সাক্সেনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মেধা পাটকর। এরপর ২০০১ সালের জানুয়ারি মাসে পাল্টা মেধা পাটকরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন বিনয় কুমার সাক্সেনা।
বিনয় কুমার সাক্সেনা সেই সময় আহমেদাবাদ-ভিত্তিক এনজিও ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সিভিল লিবার্টিজ-এর প্রধান ছিলেন। একটি টিভি চ্যানেলে সাক্সেনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করা এবং মানহানিকর বিবৃতি দেওয়ার জন্য তিনি মেধা পাটকরের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছিলেন।
মূল মামলা ছিল, ভিকে সাক্সেনাকে ‘কাপুরুষ’ অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন মেধা পাটকারের সেটা নিয়ে। তাছাড়াও মেধা আরও অভিযোগ তুলেছিলেন, হাওলা লেনদেনে সাক্সেনার যোগ রয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে মেধার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন ভিকে সাক্সেনা।
সেই মামলায় চলতি বছর ২৪ মে মাসে দোষী সাব্যস্ত হন মেধা পাটকর। এরপর সোমবার দিল্লির দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাঘব শর্মা মেধাকে পাঁচ মাসের জেল এবং ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালত জানায়, মেধার এই মন্তব্য ও অভিযোগ মানহানিসূচক। এছাড়াও ভিকে সাক্সেনা সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা উসকে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।বয়সের দিকে খেয়াল রেখে মেধার শাস্তি লঘু করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে মেধা পাটকরের বয়স ৬৯ বছর।
এদিন রায় ঘোষণার পর মেধা পাটকর বলেন, "সত্যকে কখনই পরাজিত করা যায় না। আমরা কাউকে মানহানি করার চেষ্টা করিনি, আমরা কেবল আমাদের কাজ করি। আমরা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করব।"
শাস্তি ঘোষণার পরেই জামিনের আবেদন করেন মেধা পাটকর। বিচারপতি জানান, জামিনের মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত এই শাস্তি স্থগিত থাকবে। অর্থাৎ আগামী ৩০ দিনের জন্য জেল হেফাজতের শাস্তি স্থগিত রাখা হয়েছে। যাতে মেধা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যেতে পারে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন