সিকিমের ভয়াবহ বন্যায় ৭ সেনা সহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫৩। ১৪০ জনেরও বেশি নিখোঁজ রয়েছে এখনও। নিখোঁজের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি বহু পর্যটকও রয়েছেন।
উত্তর সিকিমের সাথে সংযোগকারী বহু রাস্তা জলের স্রোতে ভেসে গেছে। সিকিম সরকার সূত্রে খবর, প্রায় ২৫,০০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ৭,০০০ মানুষ গৃহহীন। প্রায় ১২০০ বাড়ি ভয়ঙ্কর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৫০০ মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ১৩টি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে।
শুক্রবার সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং প্রশাসনের শীর্ষ আধকারিকদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন। সেখানে তিনি মৃতদের পরিবার পিছু ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন। এছাড়া চুংতুং পর্যন্ত রাস্তাটি দ্রুত চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য বিপর্যয় ত্রাণ তহবিলে ইতিমধ্যেই ৪৪.৮ কোটি টাকা দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন। এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কেন্দ্র থেকে একটি প্রতিনিধি দল গঠন করেছে, যাঁরা সিকিমে এসে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন।
এয়ার লিফটিং করে উদ্ধার কাজের প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা আবহাওয়ার কারণে বার বার ব্যাহত হচ্ছে। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকার কারণে দৃশ্যমানতা খুবই কম। সেই কারণে Mi-17 হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধারকাজ এবং ত্রাণ প্রদান করার প্রক্রিয়া বাধার মুখে পড়ছে। আবহাওয়ার উন্নতি হলে হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার কাজ সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে দক্ষিণ লোনক হ্রদে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। যার কারণে তিস্তার জল হঠাৎই ফুলে ফেঁপে উঠতে থাকে। ১৫-২০ ফুট উচ্চতায় জলের স্রোত আসে তিস্তাতে। পাশাপাশি তিস্তার পাড় সংলগ্ন একাধিক বাড়িও জলের তোড়ে ভেঙে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় গ্যাংটক, নামচি, পাকিয়ং এবং মঙ্গন জেলা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন