হাথরাস কাণ্ডে তিন অভিযুক্ত বেকসুর খালাস হওয়ার পরই সরব হলেন মৃত তরুণীর দাদা। লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের বিশেষ আদালত প্রধান অভিযুক্ত সন্দীপ ঠাকুরকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। বাকি, তিন অভিযুক্ত- রবি, লভ কুশ ও রামুকে বেকসুর খালাস বলে ঘোষণা করেছে। এরপরেই মৃত তরুণীর দাদা বলেন, আমার বোনের ন্যায়বিচারের জন্য আমাদের লড়াই জারি থাকবে। আমরা এখনও ন্যয়বিচার পাইনি। তবে হাল ছাড়বো না।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত সন্দীপ ঠাকুরকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ নং ধারা এবং এসসি/এসটি আইনের বিশেষ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে আদালত।
আদালতের এই রায়ের পর সন্দীপের কাকা রাজেন্দ্র সিং বলেন, 'আমি এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি, কিন্তু শুধুমাত্র কেন সন্দীপকেই দোষী সাব্যস্ত করা হল? পুরো বিচার প্রক্রিয়াটিই রাজনীতিবিদ ও মিডিয়ার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।'
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০-এ, ১৯-বছর-বয়সী এক দলিত তরুণীকে চার জন মিলে গণধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ ওঠে। প্রথমে ওই তরুণীকে আলীগড়ের একটি হাসপাতালে এবং তারপর দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় ১৫ দিন পরে, দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মৃতদেহটি সন্ধ্যায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তার গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পুলিশ এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জোর করে দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন