ফের সুপ্রিম কোর্টে পিছালো ২০২২ সালের প্রাথমিকে নিয়োগ মামলা। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে মেধাতালিকা প্রকাশের ছাড়পত্র পেল না পর্ষদ। ফলে পূর্বের নির্দেশই বহাল থাকল। শীর্ষ আদালতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২২ জানুয়ারি বলে জানা গেছে। সেদিন এই মামলার জট খোলে কিনা সেদিকেই তাকিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা।
রাজ্যে ১১ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হবে, গত বছর এমনই এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল পর্ষদের তরফ থেকে। সেই সময় পর্ষদের তরফে জানানো হয়, ২০২০-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ডিএলএড প্রশিক্ষণরত এবং কোর্সের প্রথম বর্ষে উত্তীর্ণ হওয়া ছাত্রছাত্রীরাও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। পর্ষদের এই নয়া নিয়মের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হলে, সেসময় পর্ষদের ওই আবেদনে সিলমোহর দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি।
যদিও পরবর্তীতে পর্ষদের এই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, প্রশিক্ষণরত প্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। শিক্ষক হতে গেলে প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করতে হবে। পরে অবশ্য দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ ডিএলএড প্রশিক্ষণ শেষ করা প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়ার কথা জানায়।
আর এরপরেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। সৌমেন পাল-সহ মূল মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় আদালতে জানিয়েছিলেন, ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষে প্রশিক্ষণরতদের প্রশিক্ষণ শেষ হচ্ছে জুন মাসে, আর নিয়োগ হবে নভেম্বর মাস থেকে। ফলে তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত। সেই মামলার রায়ে ২০২৩ সালের ২৮ জুলাই শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল পর্ষদকে। আদালতের নির্দেশ ছাড়া ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মেধা তালিকা প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
কিন্তু, এখনও পর্যন্ত ওই মামলার শুনানি হয়নি। সূত্রের খবর, আগামী ২২ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানি সুপ্রিম কোর্টে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন