ফের সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল ২৬ হাজার চাকরী বাতিল মামলার শুনানি। তিন সপ্তাহ পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার জানায়, এই মামলার সঙ্গে জড়িত পাঁচ পক্ষেরই বক্তব্য শুনবে তাঁরা। দু’সপ্তাহের মধ্যে সেই বক্তব্য জানাতে হবে।
মঙ্গলবার সকালে চাকরী বাতিলের মামলা ওঠে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে। শুনানি চলাকালীন রাজ্যের তরফ থেকে আদালতে বলা হয়, তারা এই মামলায় হলফনামা জমা দিতে চায়। একই দাবি করা হয় এসএসসির পক্ষ থেকে। দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর নোডাল কাউন্সিল নিয়োগ করে শীর্ষ আদালত। রাজ্যের নোডাল কাউন্সিল হিসাবে আইনজীবী আস্থা শর্মাকে নিয়োগ করল সুপ্রিম কোর্ট।
এরপরেই আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই মামলায় পাঁচ পক্ষেরই বক্তব্য শুনবে তাঁরা। এই পাঁচ পক্ষ হল – রাজ্য, এসএসসি, মূল মামলাকারী, চাকরিহারা এবং সিবিআই। মঙ্গলবারের পর থেকে পরবর্তী দু’সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের বক্তব্য জানাতে হবে। এছাড়া যদি অন্য কোনও পক্ষ তাদের বক্তব্য জানাতে চাইলে লিখিত ভাবে সুপ্রিম কোর্টে জানাতে পারবে। তবে এই বক্তব্য সীমাবদ্ধ রাখতে হবে পাঁচ পাতার মধ্যেই। তার বেশি নয়।
সমস্ত বক্তব্য জমা পড়ার এক সপ্তাহ পর অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে তিন সপ্তাহ পর এই মামলার ফের শুনানি হবে।
গত এপ্রিলে ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করেছিল হাইকোর্ট। যার ফলে চাকরিহারা হয় প্রায় ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিহারাদের একাংশও। গত ৭ মে হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে শীর্ষ আদালত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন