সুপ্রিম কোর্টে আবার পিছিয়ে গেল ডিএ সংক্রান্ত মামলা। রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ভির দাবি মেনেই শুনানি পিছিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই মামলার শুনানির জন্য পরে একটি নির্দিষ্ট দিন ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি পঙ্কজ মিথিলের ডিভিশন বেঞ্চে আজ ডিএ মামলার শুনানি ছিল। মামলার শুনানি শুরু হতেই রাজ্যের তরফে হাজির থাকা আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ভি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না। কেন্দ্রের কাছে ডিএ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। প্রায় ৪ লাখ রাজ্য সরকারী কর্মীর জন্য রাজ্যের উপরে প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকার বোঝা রয়েছে। এই মামলায় দীর্ঘ শুনানির প্রয়োজন আছে।
সিঙ্ভির এই যুক্তি শোনার পরই ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেয়। আদালত বলে, যে হেতু মামলাটির দীর্ঘ শুনানির প্রয়োজন, তাই মামলাটির শুনানির জন্য নির্দিষ্ট দিন ঠিক করা হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২২ সালের মে মাসে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। ডিএ মামলার প্রথম শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর। তারপর তা পিছিয়ে হয় ১৪ ডিসেম্বর। কিন্তু সেই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বাঙালি বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। মামলা থেকে সরে দাঁড়ানো নিয়ে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, 'আমরা আসায় কর্মীদের মধ্যে অতি উৎসাহ তৈরি হয়েছে। তাই এই মামলা আমরা শুনব না।'
এরপর শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে। এটিও পিছিয়ে যায়। তারপর শুনানির দিন ঠিক করা হয় ১৫ মার্চ। বিশেষ কারণে সেই দিন শুনানি পিছিয়ে যায়। নতুন দিন দেওয়া হয়েছিল ২১ মার্চ। কিন্তু সেই দিনও শুনানি হয়নি। এরপর ১১ এপ্রিল শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ২৪ এপ্রিল করা হয়। কিন্তু সেদিনও পিছিয়ে যায় মামলা। জুলাই মাসে ঠিক হয় পরবর্তী তারিখ। কিন্তু আজও হল না শুনানি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন