প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বলেছেন - সরকার ১৮ মাসের জন্য কৃষি আইন স্থগিত রাখতে প্রস্তুত এবং সাথে সাথে কৃষকদের সাথে আলোচনা চালাতেও আগ্রহী।
নয় দফা আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর কৃষক নেতৃত্বের কাছে কেন্দ্রের তরফ থেকে এই প্রস্তাব ত মাসেই দেওয়া হয়েছিল। যদিও কেন্দ্রের প্রস্তাব শুরুতেই বাতিল করে দিয়েছেন কৃষক নেতৃত্ব। তিনটি কৃষি আইন সম্পূর্ণ বাতিল না হলে আন্দোলন চলবে বলে জানান তাঁরা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী এক টুইটবার্তায় জানান- “ সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন কৃষকদের সাথে মুক্তমনে আলোচনা করতে এখনও সরকার আগ্রহী। ২২ শে জানুয়ারি যে প্রস্তাব কৃষকদের দেওয়া হয়েছিল- সেই অবস্থানেই আছে কৃষিমন্ত্রক।”
১৮ মাসের জন্য কৃষি আইন স্থগিতের প্রস্তাব একাধিকবার কৃষকরা প্রত্যাখ্যান করায় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার- কৃষক নেতৃত্বের উপর সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়ভার ঠেলে দিয়েছেন।
আজ প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় বৈঠক আবার একই কথা জানান। ২০টি বিরোধী দল কৃষক আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ২৬ শে জানুয়ারি হিংসার ঘটনায় তদন্তের দাবি তোলে। কিভাবে বহিরাগতরা প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষক আন্দোলনে যুক্ত হল সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। সাথে সাথে ২৬ শে জানুয়ারির অশান্তি নিয়ে যৌথ আলোচনা সভার দাবি করে বিরোধী দলগুলি।
বিরোধী দলগুলির সাথে সুর মিলিয়ে কৃষকরা আগেই জানিয়েছিলেন পাঞ্জাবি অভিনেতা দীপ সিধু বিজেপি ঘনিষ্ঠ, তার সাথে কৃষক আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই। লাল কেল্লায় শিখদের ধর্মীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে যে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে, তা বিজেপির পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন