১৩ এপ্রিলের পরেই নতুন মুখ্যমন্ত্রী পাবে কর্ণাটক। রাজ্যের বিশিষ্ট বিজেপি বিধায়ক বাসনাগৌড়া পাতিল ইয়ানতাল-এর এই মন্তব্য ঘিরে আপাতত সরগরম কর্ণাটকের রাজনীতি। শনিবার তিনি রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বদলের সম্ভাবনা উসকে দিয়ে জানান – উগাদি, অর্থাৎ ১৩ এপ্রিলের পরেই নতুন মুখ্যমন্ত্রী পাবে কর্ণাটক।
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছুদিন ধরেই ৭৭ বছর বয়সী মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার সমালোচনায় সরব বিজাপুর শহর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক বাসনাগৌড়া। যার অন্যতম প্রধান কারণ তাকে মন্ত্রীসভায় স্থান না দেওয়া। প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বারবার মন্ত্রীত্বের দাবী জানিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন।
বাসনাগৌড়া পাতিল ছাড়াও দলের একাধিক বিধায়ক সাম্প্রতিক সময়ে ইয়েদুরাপ্পার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। এমনকি মন্ত্রীসভা সম্প্রসারণের পর বিধায়কদের তুমুল বিক্ষোভের জেরে পাঁচদিনের মধ্যে চারবার তিনি মন্ত্রীসভায় পদ ও দপ্তরের পুনর্বিন্যাস করতে বাধ্য হন।
গতকাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাসনাগৌড়া পাতিল বলেন – আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মন্ত্রীত্বের দাবী নিয়ে যাবো না। আমি বলছি, আমাদের একজন মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসবেন এবং যিনি মন্ত্রীত্ব দেবেন। আমি আপনাদের বলছি – উত্তর কর্ণাটক থেকে কেউ আসবেন। আপনারা অপেক্ষা করুন এবং দেখতে থাকুন। এটা খুবই তাড়াতাড়ি ঘটবে।
অবশ্য এবারই প্রথম নয়। এর আগেও প্রকাশ্যে বাসনাগৌড়া জানিয়েছেন – বি এস ইয়েদুরাপ্পা বেশিদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। দলের হাইকমান্ড বিষয়টি দেখছেন। যদিও তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তাঁকে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করার জন্য বলা হয়েছে।
সূত্র অনুসারে, কর্ণাটক বিজেপির একটা বড়ো অংশই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে বদল চান। মূলত বি এস ইয়েদুরাপ্পার বয়স এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজে মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে বি ওয়াই বিজয়েন্দ্রর হস্তক্ষেপের কারণে তাঁরা বিরক্ত। এছাড়াও দলের মধ্যে থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন