ভারতীয় দণ্ডবিধির জায়গায় এবার আসছে নয়া অপরাধ আইন। ইতিমধ্যেই নয়া বিল পাশ হয়েছে সংসদে, অনুমতি মিলেছে রাষ্ট্রপতিরও। সেই নয়া আইন কার্যকর হবে চলতি বছর জুলাই মাস থেকে। শনিবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানিয়ে দেওয়া হল।
নয়া ভারতীয় অপরাধ আইন কার্যকর হলে, তার অন্তর্ভুক্ত ভারতীয় ন্যায় (দ্বিতীয়) সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা (দ্বিতীয়) এবং ভারতীয় সাক্ষ্য (দ্বিতীয়) বিল, ১৮৬০ সালের ইন্ডিয়ান পেনাল কোড, ১৮৭৩ সালের কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওর এবং ১৮৭২ সালের ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্টের জায়গা নেবে।
কেন্দ্র সরকার জানিয়ছে, আগে CRPC-তে ৪৮৪টি ধারা ছিল, তা বাড়িয়ে ৫৩১ করা হয়েছে। ১৭৭টি ধারায় পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে, যোগ করা হয়েছে ৯টি নতুন অনুচ্ছেদ। ৩৯টি উপধারাও যুক্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আনা হয়েছে ৪৪টি নতুন ধারাও।
এই নয়া আইন কার্যকর করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, ঔপনিবেশিক বেড়াজাল ভাঙ্গতেই নয়া আইন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে বলেছিলেন, নয়া আইন কার্যকর হলে আগামী পাঁচ বছরে ভারতীয় বিচার ব্যবস্থা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে উন্নততর হয়ে উঠবে। খুঁটিনাটি সবকিছু এই তিন আইনের আওতায় আসায় সুবিধা হবে সবদিক থেকে।
অমিত শাহ জানান, "নয়া আইন ভারতীয়ত্ব, ভারতী সংবিধান এবং ভারতের মানুষের কল্যাণসাধনের জন্যই আনা হয়েছে। নয়া আইনে প্রযুক্তির ব্যবহারে জোর দেওয়া হয়েছে। তদন্তে ফরেন্সিক সায়েন্সের ব্যবহার ত্বরাণ্বিত হবে। আইনি প্রক্রিয়া এবং বিচার ব্যবস্থা এতে উপকৃত হবে।"
তবে এই নয়া আইন প্রস্তাবের প্রথম থেকেই কেন্দ্রের বিরোধিতা করেছিল বিরোধী দলগুলি। বিরোধী শিবিরের তরফে বার বার চিঠিও দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ ছিল, বিরোধীদের মত না নিয়ে, দেশের আইন বিশারদ থেকে বিচারপতি, আমলা, মানবাধিকার সংস্থা, কারও কোনও মত না নিয়ে এই নয়া বিল আনা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন