নতুন আইনে বন্দরগুলোর বেসরকারিকরণের হতে পারে - আশঙ্কায় জোট বাঁধছে একাধিক শ্রমিক সংগঠন

মেজর পোর্ট ট্রাস্ট অ্যাক্ট ১৯৬৩-র অধীনে বন্দরগুলোকে কখনই বিক্রি করতে পারে না কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু কেন্দ্র এখন বন্দরগুলো বেসরকারিকরণ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
নতুন আইনে বন্দরগুলোর বেসরকারিকরণের হতে পারে - আশঙ্কায় জোট বাঁধছে একাধিক শ্রমিক সংগঠন
ছবি প্রতীকী সংগৃহীত
Published on

নতুন আইন এনে বন্দরগুলোকে বেসরকারিকরণ করা হবে বলে সন্দেহ প্রকাশ করে শ্রমিক সংগঠনগুলো জোট বাঁধতে শুরু করেছে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মেজর পোর্ট অথরিটি বিল, ২০২০ বিল-এর কথা বলেছেন। যার ফলে দেশের বন্দর ক্ষেত্রের আমূল বন্দরের পরিবর্তন হতে চলেছে।

ইউনাইটেড পোর্টস অ্যান্ড ডক এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ভিএস পদ্মনাভ রাজু জানিয়েছেন, এই নতুন আইনটির দ্বারা কেন্দ্রীয় সরকার বেসরকারিকরণের দিকে আরও গভীরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এরফলে শীঘ্রই বন্দরগুলো 'পোর্ট ট্রাস্ট' নাম হারিয়ে 'পোর্ট অথরিটি' হয়ে যাবে। ৫৩ নং ধারার (১) ও (২) নং ধারা অনুসারে কেন্দ্রীয় সরকার পোর্ট অথরিটিকে কোম্পানিতে পরিবর্তন করতে পারবে। মেজর পোর্ট ট্রাস্ট অ্যাক্ট ১৯৬৩-র অধীনে বন্দরগুলোকে কখনই বিক্রি করতে পারে না কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু কেন্দ্র এখন বন্দরগুলো বেসরকারিকরণ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

চিন ছাড়া মোট ৫৬টি সামুদ্রিক দেশকে মেরিটাইম ইন্ডিয়া সামিটে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মিনিস্ট্রি অফ পোর্ট, শিপিং অ্যান্ড ওয়াটারওয়েজ-এর সচিব সঞ্জীব রঞ্জন জানিয়েছেন, নতুন সুযোগ খুলে গিয়েছে নতুন মেজর পোর্ট অথরিটি বিলের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। এই অনুষ্ঠানে বিদেশি কপোর্রেটরাও উপস্থিত থাকবেন।

যদিও রাজু জানিয়েছেন, জোর করে বিলটি চাপিয়ে দিয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন ও বিরোধী দলগুলোর উদ্বেগ বাড়ানো হয়েছে। এভাবে মেরিটাইম সম্মেলনের ফলে কেন্দ্রীয় সরকার তাড়াহুড়ো করে বন্দরগুলোকে বেসরকারিকরণ করতে উঠেপড়ে লেগেছে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in