মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাকালীন পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১২১ জন পুণ্যার্থীর। বুধবার পুলিশের তরফে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। কিন্তু সেই এফআইআরে নাম নেই নারায়ণ সাকার হরি ওরফে ভোলে বাবার, যার জন্য ওই সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল।
জানা গেছে, সিকান্দারা রাও থানায় অনুষ্ঠানের মুখ্য আয়োজক দেবপ্রকাশ মধুকর এবং অন্যান্য সহযোগীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। জানা গেছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী ১০৫, ১১০, ১২৬(২), ২২৩ এবং ২৩৮ ধারায় মামলা রজু করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এফআইআরে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অনুষ্ঠানের মুখ্য আয়োজক দেবপ্রকাশ মধুকর স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে ৮০ হাজার মানুষে জমায়েতের জন্য অনুমতি নিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেছে ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রায় ২.৫ লক্ষ মানুষ উপস্থিত হয়। যার ফলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এফআইআরে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অনুষ্ঠানে এইরকম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পরেও আয়োজকদের তরফ থেকে কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার হাথরসে সিকান্দরারাউ এলাকায় ভোলে বাবার সৎসঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১২১ জনের। আহত প্রায় ২৮। স্থানীয় সূত্রে খবর, ‘ভোলে বাবা’ নামে স্বঘোষিত এক ধর্মীয় গুরুর জন্য ‘মানব মঙ্গল মিলন সদ্ভাবনা অনুষ্ঠান কমিটি’র তরফে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত ওই সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল মঙ্গলবার।
অনুষ্ঠান শেষ হতেই মানুষ হুড়মুড়িয়ে ভোলে বাবাকে প্রণাম করতে যান। আর সেখানেই বাঁধে বিপত্তি। হুড়োহুড়িতে বহু মানুষ মাটিতে পড়ে যায়। বাকিরা তাঁদের উপর দিয়ে এগোনোর চেষ্টা করেন। যার ফলে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১২৬ জন পুণ্যার্থীর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন