জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক বলে মনে করলেই কোনও ব্যক্তিকে আটক করা যাবে। কেন্দ্রের তিন কালা কৃষি আইনে বিরোধিতায় কৃষকদের দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা আন্দোলন রোখার আর কোনও রাস্তা না পেয়েই কি এবার কেন্দ্র জাতীয় নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করতে চলেছে? দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজলের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে এমনই জল্পনা শুরু হয়েছে।
কি উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে? বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তিকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক বলে মনে করলে, তাকে আটক করা যাবে। আগামী ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে। জাতীয় নিরাপত্তা আইনে এই পদক্ষেপ করার অধিকার আছে পুলিশ কমিশনারের। রাজনৈতিক মহলের মতে, তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত বছর থেকে কৃষকরা অনড় আছেন। কেন্দ্রের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক হলেও জটিলতা কাটেনি।
এরমধ্যেই যন্তরমন্তরে কিষান সংসদ শুরু করেছেন কৃষকরা। চলবে সংসদের বাদল অধিবেশন পর্যন্ত। প্রতিদিন ২০০ জন করে কৃষক এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। তাঁরা ঠিক করেছিলেন, অ- বিজেপি সাংসদদের মাধ্যমে সংসদে তাঁদের বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। তবে যতদিন না পর্যন্ত তাঁদের দাবি মানা হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত ধীরে ধীরে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়ানো হবে। এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষক নেতারা। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনে রাশ টানতে এই নির্দেশিকাকে হাতিয়ার করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও এই অভিযোগ মানতে চাননি সিনিয়র পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁদের সাফ জবাব, স্বাধীনতা ও সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে প্রতিবারই এই ধরনের নির্দেশিকা জারি হয়। এরমধ্যে অন্য কোনও কারণ খুঁজতে যাওয়ার চেষ্টা বৃথা। গোয়েন্দাদের সতর্ক বার্তার কথাও উল্লেখ করেছেন তাঁরা।
আধিকারিকরা খবর পেয়েছেন, স্বাধীনতা দিবসের আগে জঙ্গিরা রাজধানীতে বড়সড় হামলা চালাতে পারে। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কোনও ইস্যুতে পদক্ষেপ করার জন্য পুলিশের হাতে অতিরিক্ত কিছু ক্ষমতা থাকা দরকার। তাই আইনি পরিসরেই দিল্লির পুলিশ কমিশনার লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছ থেকে এই অধিকার পেয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন