আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ৪০ শতাংশ। শনিবার, বাজার বন্ধের সময় আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই (WTI) অপরিশোধিত তেল বিক্রি হয়েছে ৭৪ ডলার ৩০ সেন্টে। কিন্তু, তারপরেও ভারতে জ্বালানি তেল বিক্রি হচ্ছে ব্যারেল পিছু ১০৭ ডলারে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৪০ শতাংশ কমার জেরে- লাভবান হচ্ছে মোদী সরকার। কিন্তু, এর সুফল পাচ্ছে না দেশের সাধারণ মানুষ। আগামীতে সেই সম্ভাবনাও কম। কেননা, মোদী সরকার এখনই দেশে পেট্রোল ডিজেলের দাম কমাতে চাইছে না। সম্প্রতি, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে সেকথায় স্পষ্টও করেছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ পুরী।
পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী জানিয়েছেন, আমদানি করা দামের নীচে পাম্প জ্বালানী বিক্রি করার কারণে ২৭,০০০ কোটি টাকার ক্ষতি করেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন খুচরা বিক্রেতারা৷ তাই, তাঁদের লোকসান পুনরুদ্ধার করতে বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত মূল্যের ‘কম দামের কুশন’ ব্যবহার করতে চায় কেন্দ্র।
আর কি কারণে জ্বালানি (পেট্রোল-ডিজেল) তেলের দাম কমছে না? উত্তরে হরদীপ পুরী সংসদে জানিয়েছেন, ‘যেহেতু জ্বালানির দাম নিয়ন্ত্রণমুক্ত, তাই বাঙ্কের পেট্রোলের দাম পণ্য প্রস্তুতির খরচ, পরিবহণের খরচ, ইনসিওরেন্স এবং এক্সচেঞ্জ রেটের মাধ্যমে, রিফাইনারের মার্জিন, ডিলারের মার্জিন, কেন্দ্রীয় সরকারের শুল্ক ও রাজ্য সরকারের ভ্যাটের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়।’
তিনি দাবি করেন, আন্তর্জাতিক বাজারে উচ্চ হারে অপরিশোধিত তেলের দামের প্রভাব থেকে ভারতীয় গ্রাহকদের রেহাই দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর থেকে ২০২২ সালে দুইবার আবগারি শুল্ক কমিয়েছে কেন্দ্র। এর ফলে প্রতি লিটার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমেছে যথাক্রমে ১৩ টাকা ও ১৬ টাকা। এবং এর পুরো লাভটাই পেয়েছিলেন উপভোক্তারা।…আমরা আবগারি শুল্ক কমিয়েছি। রাজ্যগুলিকেও ভ্যাট কমানোর জন্য আবেদন করেছি আমরা। কিন্তু, কেউ করেছে, কেউ করেনি।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন