পেগাসাস চরবৃত্তি নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হলেন আইনজীবী। তিনি এই ইস্যুতে এখনও মুখ খোলেননি, এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন আইনজীবী মনোহর লাল শর্মা। তিনি দাবি করেছেন, ‘সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ভেঙে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজনৈতিক স্বার্থে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেছেন। তাই ইজরায়েলের সঙ্গে এই চুক্তি বাতিল করতে হবে।
একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নামে এফআইআরের অনুমতি দিতে হবে।’ এছাড়াও এই কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাতে হবে বলে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। আবেদনকারী আইনজীবী মনোহরলাল শর্মা বলেন, 'এ ধরনের চুক্তি আসলে ক্রিমিনাল অফেন্স। তাই নরেন্দ্র মোদি এবং এর যাঁরা এই চুক্তির সঙ্গে জড়িত, তাঁদের নামে এফআইআর করে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিক সর্বোচ্চ আদালত।' দ্রুত মামলার শুনানি করতে হবে বলে দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, পেগাসাস কাণ্ডে নতুন করে তোলপাড় হয়েছে গোটা দেশ। কিন্তু মুখে কুলুপ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। শনিবার সরকারের পক্ষ থেকে ভি কে সিং মিডিয়া মহলকে নিশানা করেন। বিজেপি বা সরকার কোনও যুক্তি দেয়নি। আর তাতেই ক্ষোভের পারদ চড়েছে। এদিকে, সমস্যা আরও বেড়েছে অন্য জায়গায়। কারণ, আজই শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশন। এই অধিবেশনে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে বিরোধীরা স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছে।
এদিকে, সরকারের উপর স্নায়ুর চাপ বাড়ালেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ মোশন আনার দাবি তুলেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে রবিবার চিঠি দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, ‘নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন বলছে, সুপ্রিম কোর্ট থেকে সংসদে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেছে মোদি সরকার। তাই সংসদকে বিভ্রান্ত করার অপরাধে তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ দেওয়া হোক।’
সরকারকে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ পি চিদম্বরম। টুইটে তাঁর তোপ, ‘গতকালই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের সঙ্গে ইজরায়েলের সম্পর্ক আর সমৃদ্ধ করার এটাই সঠিক সময়। তাই ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে আরও উন্নত সফটওয়্যার চাওয়া উচিত।' ব্যঙ্গ করে তিনি বলেন, ২০১৭ সালে চুক্তির জন্য ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিলে এবার তো ৪ বিলিয়ন দেওয়া যেতেই পারে!
এদিকে, নিউ ইয়র্ক টাইমসকে ‘সুপারি মিডিয়া’ বলে উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভিকে সিং। তাঁকে নিশানা করে চিদম্বরম বলেন, ‘উনি কি নিউ ইয়র্ক টাইমস বা ওয়াশিংটন পোস্ট পড়েন? পড়লে বুঝতেন ওয়াটার গেট দুর্নীতি আর পেন্টাগন পেপারস ফাঁসে এরা কী ভূমিকা নিয়েছিল।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন