পাঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় আটকে যাওয়ার ঘটনাকে প্রাণঘাতী হামলার ষড়যন্ত্র বলে দেগে দিতে চাইলেন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা। পাল্টা কংগ্রেসের বক্তব্য, জাতীয় নিরাপত্তার সমস্যা থেকেও কি প্রধানমন্ত্রীর নিজের নিরাপত্তা নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন? কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রাণঘাতী হামলার চেষ্টার অভিযোগ তুলে ভাবাবেগ তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। যাতে উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে এই ভাবাবেগ ব্যবহার করে নির্বাচনী বৈতরণী পেরোনো যায়।
কংগ্রেস নেতা, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের বক্তব্য, অন্য কোনও প্রধানমন্ত্রী হলে প্যাংগং হ্রদ ও অরুণাচল প্রদেশে সীমান্তে জাতীয় নিরাপত্তার দিকগুলিতে নজর দিতেন। কিন্তু গত ৭০ বছরে দেশের এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী নিজের নিরাপত্তা নিয়ে বেশি চিন্তিত।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার জন্যই ড্রোন বা টেলিস্কোপিক রাইফেল ব্যবহার করা হতে পারত। প্রধানমন্ত্রী নিজেই ভাটিন্ডা থেকে দিল্লি ফেরার সময় বিমানবন্দরে বলেছিলেন, তিনি বেঁচে ফিরতে পেরেছেন। তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে যেন তাঁর তরফে ধন্যবাদ জানানো হয়। সেই সুরেই গিরিরাজ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কনভয় আটকে যাওয়াটা কাকতালীয় নয়, তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র।' তদন্ত হলে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর ও উপরতলা পর্যন্ত ষড়যন্ত্রের যোগ সূত্র মিলবে।
এসবের পিছনে অবশ্য কংগ্রেস রাজনৈতিক কৌশল খুঁজে পাচ্ছে। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগেও ভীমা কোরেগাঁও কাণ্ডে সমাজকর্মী, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবীদের গ্রেফতারের পরেও এমনই অভিযোগ তোলা হয়। পাঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রী চন্নী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে কেউ গুলি ছুড়লে তিনি বুক পেতে দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধেয়। কিন্তু, তাঁর মাপের জাতীয় নেতার এই ধরনের নাটক অশোভন।
তিনি কটাক্ষ করে বলেন - "বিজেপির ফিরোজপুরের সভায় কম লোক হয়েছিল। আর সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী সভা বাতিল করেছেন। জনসভায় প্রায় সমস্ত চেয়ার খালি দেখেই দিল্লিতে ফিরে যান প্রধানমন্ত্রী। আর তারপরেই নিরাপত্তার অভাব নিয়ে অভিযোগ করেন তিনি।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন