ভারতবর্ষের বাস্তবতা মানেই দুর্নীতি, নোংরা রাস্তা, দূষণ এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লোডশেডিং - এমনটাই বললেন ইনফোসিসের সহ প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণ মূর্তি। ভিজিয়ানগরম জেলার রাজমে জিএমআর ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (জিএমআরআইটি) এর রজত জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে এই কথাই বললেন মূর্তি।
মূর্তির বিবৃতি অনুযায়ী, "সিঙ্গাপুরে বাস্তবতা মানেই পরিষ্কার রাস্তা, কোন দূষণ নেই এবং প্রচুর বিদ্যুৎ। অথচ ভারতে বাস্তবতা মানে দুর্নীতি, নোংরা রাস্তা, দূষণ এবং লোডশেডিং। সুতরাং ভারতকে সিঙ্গাপুরের মত তৈরি করাটাও আপনাদের দায়িত্ব। দারিদ্রতা দূরীকরণ এবং স্বল্প সুবিধাপ্রাপ্তদের সাহায্য করার একমাত্র সমাধানই যখন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, তখন উদ্যোক্তাদের উচিত আরও বেশি করে সেদিকে নজর দেওয়া।"
তিনি আরও বলেন, সমাজ পরিবর্তন করতে গেলে তরুণদের সেই ধরণের মানসিকতার অধিকারী হতে হবে। তাঁদের সেইভাবেই গড়ে তুলতে হবে। নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জনগণ, সমাজ ও জাতির স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে শিখতে হবে। জিএমআর গ্রুপের চেয়ারম্যান জি এম রাও-র থেকে প্রতিটি শিক্ষার্থীর অনুপ্রেরণা নেওয়া উচিত। অন্যদিকে, জি এম রাও-র কথায়, "এন আর নারায়ণ মূর্তি আমার দল, সমস্ত ছাত্র, শিক্ষক এবং সারা দেশের যুবকদের জন্য অনুপ্রেরণা।"
জিএমআরআইটি মূলত জিএমআর গ্রুপের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি ডিভিশনের অন্তর্গত জিএমআর ভারলক্ষ্মী ফাউন্ডেশন (জিএমআরভিএফ) দ্বারা পরিচালিত হয়। গত সপ্তাহে বেঙ্গালুরুতে ইনফোসিসের সদর দপ্তর ইলেক্ট্রনিক্স সিটিতে ৪০ বছর পূর্তি উদযাপিত হয়েছে।
নিজের পূর্ববর্তী অবস্থান থেকে সরে এসে এন আর নারায়ণ মূর্তি বলেন, আমার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল ছিল। কোম্পানির নীতি অনুযায়ী, কোম্পানির যারা প্রতিষ্ঠাতা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নেতৃত্বের স্থান থেকে দূরে রাখা হয়। কিন্তু এখন আমার মনে হয়, আমি ইনফোসিস কোম্পানিকে যোগ্য প্রতিভা থেকে বঞ্চিত করেছি। আমি আমার ভুল শুধরে নিতে চাই। আমি মনে করি, নিজেকে সেরা হিসেবে প্রমাণ করার জন্য প্রত্যেক ব্যক্তির একইরকমের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া প্রয়োজন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন