এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের। মাত্র কয়েক মিটার দূরেই কাজ থামিয়ে দিতে হয় উদ্ধারকারী দলকে। যে মেশিন দিয়ে উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছিল তাতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ার কারণেই থমকে গেছে উদ্ধার কাজ। তবে যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়ে শুক্রবার বেলা থেকে ফের শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ।
সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন যে এই বুঝি দীর্ঘ ১২ দিন পর মুক্তি পাবেন সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকরা। প্রশাসনের তরফ থেকেও জানানো হয়েছিল যে মাত্র কিছুক্ষণের অপেক্ষা, তারপরই শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনো যাবে। কিন্তু আচমকাই একটি যন্ত্র বিকল হয়ে যায়। আধিকারিকরা জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির জন্যই মেশিনটি বন্ধ হয় যায়। অতি দ্রুততার সাথে কাজ করে শ্রমিকদের উদ্ধার করা হবেই।
উদ্ধারকারী আধিকারিকরা আরও জানান, কয়েক মিটার পাথর কাটার কাজ বাকি থাকলেও তা খুব সাবধানতার সাথে করতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালেই সকলকে উদ্ধার করা সম্ভব হতো। কিন্তু পাথর কাটতে কাটতে একটি রড বেরিয়ে আসে। সেই রড কাটতেও বেগ পেতে হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারদের। তারপর বিকল হয় যন্ত্রটি। শুক্রবার সকাল ১০ টার পর ফের ড্রিলিং শুরু হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামীর প্রাক্তন পরামর্শদাতা শুক্রবার সকালে জানান, "গতকাল রাতে আমাদের দুটো জিনিসের ওপর কাজ করতে হতো। মেশিন খারাপ হওয়ার পর ফের ঠিক করা যেটা হয়ে গেছে। এছাড়া যে পাইপটি সুড়ঙ্গে ঢোকানো হয়েছে তার থেকে চাপ মুক্ত করার জন্য পাইপটি কাটা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন সামনের ৫ মিটার পর্যন্ত পাথরে কোনো ধাতব জিনিস নেই। ফলে আমাদের ড্রিলিং বাধার মুখে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম"।
গত ১২ নভেম্বর থেকে উত্তরকাশী জেলায় ব্রহ্মকাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কিয়ারা থেকে ডন্ডালগাঁও পর্যন্ত নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের মধ্যে ৪১ জন শ্রমিক আটকে রয়েছেন। যার মধ্যে ৩ জন বাংলার শ্রমিক। সকলেই জীবিত আছেন বলেই প্রশাসন সূত্রে খবর। ৪ ইঞ্চি একটি পাইপের মধ্য দিয়ে তাঁদের জন্য খাবার ও প্রয়োজনীয় দ্রব্য পাঠানো হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন