ভাঙন ধরল ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নে (BKU)। বিকেইউ মুখপাত্র রাকেশ টিকাইতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে নতুন ভাবে দল তৈরি করলেন রাজেন্দ্র সিংহ মালিক, রাজেশ চৌহান সহ আরও অনেক প্রভাবশালী নেতৃত্বরা। এমনটাই জানা যাচ্ছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
মোদী সরকারের কৃষক আইনের বিরুদ্ধে রাকেশ টিকাইতের ভূমিকা একদম প্রথম সারিতে ছিল। তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ আনল সংগঠনের একাধিক নেতা। বিক্ষুব্ধ নেতারা জানান রাকেশ টিকায়তের ভূমিকা দিনদিন একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সাথে মিলে যাচ্ছে। যা বিকেইউয়ের মৌলিক নীতির পরিপন্থী। সেইজন্যই অনিল তলন, রাকেশ সিং মালিক, হরনাম সিং বর্মা, বিন্দু কুমার, প্রমুখেরা ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা মহেন্দ্র সিং টিকায়তের মৃত্যুবার্ষিকীর দিন সংগঠন থেকে বেরিয়ে আসলেন। তাঁরা নতুন সংগঠন তৈরি করেন। যার নাম হয় ভারতীয় কৃষাণ ইউনিয়ন (অরাজনৈতিক)।
নতুন সংগঠনের একনেতা জানান, রাকেশ টিকাইত ও তার ভাই নরেশ রাকেশ টিকাইত কিষাণ ইউনিয়নের মৌলিক নীতি থেকে সরে গিয়ে রাজনৈতিক দিকে ঝুঁকছে। আর সেই কারণেই ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নকে রাজনীতি মুক্ত করতে নতুন ভাবে সংগঠন তৈরী করতে হল। তিনি আরও বলেন, এই নবগঠিত সংগঠনটির সাথে রাজনীতির কোনো যোগ নেই।
সূত্রের খবর, নতুন সংগঠনটির সভাপতি হয়েছেন রাজেশ সিং চৌহান, জাতীয় সহ-সভাপতি নিযুক্ত হয়েছেন মঙ্গেরাম ত্যাগী, ধর্মেন্দ্র মালিককে করা হয় জাতীয় মুখপাত্র। এনারা প্রত্যেকেই ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল ছিলেন। এই বিষয়ে রাকেশ টিকায়ত বলেন, যাঁরা চলে গেছেন তাঁরা মূলত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য স্বার্থসিদ্ধির জন্য গেছেন এতে সংগঠনের কার্যকলাপে কোনো প্রভাব পরবে না।
তাঁকে বলতে শোনা যায়, বিক্ষুব্ধ নেতাদের মধ্যে অনেকেই বিজেপির সাথে যোগাযোগ রাখছিলেন, এমনকি ইউপি নির্বাচনেও তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ যোগীর হয়ে কাজ করেছিলেন। পরবর্তীকালে সংগঠনকে আরও মজবুতভাবে গড়ে তোলা হবে।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, ১ মার্চ ১৯৮৭ সালে মহেন্দ্র সিং টিকায়ত কৃষকদের জন্যই ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করেন। ঐ বছরেই ১৭ মার্চ বিকেইউএর সর্বপ্রথম সভা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন