কাশ্মীরের বর্তমান অবস্থা যে বিশেষ ভালো নয়, তা কার্যত মেনে নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে সেই রাজ্যের পরিস্থিতি যে স্বাভাবিক নয়। স্বাভাবিক হলেই তবে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হবে। এমনটাই জানালেন তিনি। ফলে প্রশ্ন উঠছে, সন্ত্রাস মুক্ত কাশ্মীর যে এখনও তৈরি হয়নি, সেটা কি স্বীকার করলেন শাহ? নিশানা করেছেন কাশ্মীরের নেতারা।
ভারতের প্রথম ‘জেলা সুশাসন সূচক’ প্রকাশ ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে শাহ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অগ্রাধিকারের তালিকায় সবার উপরে রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। সেখানকার উন্নয়নের জন্য সবরকমের চেষ্টা চলছে।'
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জানালেন, আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের যে কাজ শুরু হয়েছে, তা শেষ হলেই বিধানসভা ভোট হবে। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই তা করা হবে। কেবল গণতন্ত্রের হাত ধরেই জম্মু-কাশ্মীরের উন্নতি ঘটানো সম্ভব। পঞ্চায়েতি রাজ চালু হওয়ায় গণতন্ত্র তৃণমূল স্তর পর্যন্ত গিয়েছে। এখন ৩০ হাজার পঞ্চায়েত সদস্য জম্মু-কাশ্মীরে কাজ করছেন।
শাহর মতে, গণতন্ত্রের জন্য জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি প্রয়োজন। অশান্তির পথে পা না বাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রাখার জন্য জম্মু-কাশ্মীরের যুবক-যুবতীদের অনুরোধ করেছেন তিনি। জম্মু-কাশ্মীরের যুবক-যুবতীদের অনুরোধ করেন, যারা মিথ্যে ছড়াচ্ছে তাদের জিজ্ঞাসা করতে যে, জম্মু-কাশ্মীরের জমি কেড়ে নেওয়া হবে, বলা হয়েছিল। জানতে চান কার জমি কাড়া হয়েছে? হিংসা বাড়বে বলা হয়েছিল। জানতে চান হিংসা বেড়েছে না কমেছে? ইতিমধ্যেই ১২ হাজার কোটি টাকা লগ্নি হয়েছে।
কিন্তু কাশ্মীরের নেতাদের প্রশ্ন, স্বাভাবিকত্বের সংজ্ঞা কী? কেন্দ্র কীভাবে বুঝবে? পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির অভিযোগ, স্বাভাবিক পরিস্থিতির নামে জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের সন্ত্রস্ত করে ভারত সরকার মেনে নিচ্ছে কাশ্মীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। এটা দ্বিচারিতা।
পিপলস কনফারেন্স নেতা সাজ্জাদ লোনের বক্তব্য, ‘স্বাভাবিকত্বের সংজ্ঞা কী? যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় স্বাভাবিক পরিস্থিতি নেই বলে ক্ষমতা দখল করা যায়?’ গুপকর জোট ও সিপিআইএম নেতা ইউসুফ তারিগামির কটাক্ষ, ভাঙা রাস্তা, জল সরবরাহে সমস্যা, বেকারত্বই কাশ্মীরের সুশাসনের চিত্র তুলে ধরছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন