ছাত্রদের রাজভবন অভিযানকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়েছিল মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইম্ফলের তিনটি জেলায় জারি করা হয় কার্ফু। আহত হয় ৫৫ জনেরও বেশী ছাত্র। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। বুধবার এমনই জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
বুধবার এ বিষয়ে এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গোটা রাজ্য জুড়ে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা রয়েছে। মঙ্গলবারের পরে বুধবারও তিন জেলায় জারি রয়েছে কার্ফু। চলছে পুলিশের টহলদারি।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা রাজ্যপাল লক্ষণ প্রসাদ আচার্য এবং মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং-এর সঙ্গে দেখা করেন। এরপর রাজভবনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। সেই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভকারী ছাত্ররা রাজ্যপালকে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। রাজ্যপাল ছাত্রদের আশ্বস্ত করেছেন যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার।
মঙ্গলবার ফের ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ইম্ফল। রাজভবনের উদ্দেশ্যে ছাত্রদের মিছিলে পুলিশি হামলার অভিযোগ ওঠে। ৫৫ জনের বেশি ছাত্র আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ছাত্রদের পক্ষ থেকে অবিলম্বে কেন্দ্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং এবং ডিজিপি রাজীব সিং-এর অপসারণ দাবি করা হয়। ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের পক্ষ থেকে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া এবং লাঠিচার্জ-এর অভিযোগ আনা হয়েছে।
ছাত্রদের অভিযোগ, ডিজিপি এবং কেন্দ্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছেন। সেই কারণে তাদের অপসারণ চাই। আহত ছাত্রদের স্থানীয় রিজিওনাল ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সস-এ নিয়ে যাওয়া হয়।
মঙ্গলবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, থৌবাল, চূড়াচন্দ্রপুর এবং কাকচিং-এ মোবাইল পরিষেবা এবং ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড পরিষেবা আগামী পাঁচ দিনের জন্য বন্ধ করার কথা ঘোষণা করা হয়। ইম্ফল পশ্চিম ও পূর্ব এবং থৌবাল জেলায় কার্ফু জারি করা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন