জন্ম থেকেই ছেলে মূক ও বধির। যা নিয়ে সংসারে স্বামী-স্ত্রীর নিত্যদিনের অশান্তি। আর সেই অশান্তি থেকে মুক্তি পেতেই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন মা। নিজের সন্তানকে কুমির ভর্তি নদীতে ফেলে দিলেন। যার ফলে মৃত্যু হয়েছে ৬ বছরের ওই শিশুর। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই দম্পতিকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কর্ণাটকের উত্তর কন্নড়ের দান্ডেলি তালুক গ্রামের বাসিন্দা সাবিত্রী ও রবিকুমার। ৩২ বছর বয়সী সাবিত্রী একজন গৃহবধু এবং ৩৯ বছর বয়সী রবিকুমার রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন। তাঁদের ছেলে বিনোদ জন্ম থেকেই মূক ও বধির। আর যা নিয়ে অশান্তি লেগে থাকত সংসারে। রবিকুমার ঝামেলার সময় বলতেন, ছেলেকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে।
শনিবার রাতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চরমে পৌঁছায়। এরপরেই রাত ৯ টা নাগাদ ৬ বছরের বিনোদকে স্থানীয় এক খালে ফেলে দেন সাবিত্রী। যে খাল গিয়ে মিশেছে কুমির ভর্তি কালী নদীতে।
এই খবর জানাজানি হতেই স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। শনিবার রাতে ডুবুরি নামিয়েও খোঁজ মেলেনি বিনোদের। রবিবার সকালে কালী নদী থেকে মেলে বিনোদের দেহ। শরীরে তখন জায়গায় জায়গায় ক্ষত। কামড়ের দাগ। একটা হাত কাটা। যা থেকে স্পষ্ট, শিশুটিকে জলের মধ্যে কুমিরে কামড়েছে।
ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই দম্পতিকে। স্বামী ও স্ত্রীকে আদালত ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিয়েছে। এই ঘটনায় সাবিত্রী তার স্বামীকে দোষারোপ করছেন। সাবিত্রীর অভিযোগ, "ঘটনার জন্য আমার স্বামী দায়ী। তিনি সবসময় বিনোদকে নিয়ে অশান্তি করতেন।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন