পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কলকাতা হাই কোর্টের রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। কমিশনের দায়ের করা স্পেশাল লিভ পিটিশন বা এসএলপি খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হবে পঞ্চায়েত ভোট।
আজ শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের একাধিক প্রশ্নের মুখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে সওয়াল জবাব পর্ব চলাকালীন কমিশন আদালতে জানায়, ৬১৬৩৬ টি বুথের মধ্যে ১৮৯টি স্পর্শকাতর, এর জন্য অতিরিক্ত বাহিনীর প্রয়োজন আছে। তাই অনান্য ৫ রাজ্যের কাছে আবেদন জানিয়েছে রাজ্য।
এরপর বিচারপতি নাগরত্ন বলেন,, "প্রথমত নির্বাচন কমিশন হাই কোর্টের রায়কে অমান্য করতে পারে কিভাবে? আপনাদের দায়িত্ব সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত, রাজ্যের কাছে পর্যাপ্ত পুলিশ নেই বলেই তো আপনারা আধ ডজন রাজ্যের কাছে সাহায্য চেয়েছেন।"
বিচারপতির আরও প্রশ্ন, "আপনাদের বাহিনী প্রয়োজন, তা কোথা থেকে এল তাতে আপনাদের কী? রাজ্য থেকে বাহিনী এল, নাকি পাশের রাজ্য থেকে এল, নাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী এল, এতে আপনারা কিভাবে প্রভাবিত হচ্ছেন? ভোটে আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় বাহিনী হলে সমস্যা কোথায়?’ আপনাদের এই এসএলপি-র মানে কী?"
তিনি বলেন, নির্বাচন করানো মানে হিংসার লাইসেন্স দেওয়া নয়, হিংসা কখনও নির্বাচনের সহযোগী হতে পারে না।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ২০১৩ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। এবারের নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বেও গণ্ডগোল হয়েছে। প্রার্থীরা মনোনয়ন দিতে পারছে না, জমা করলেও হিংসার সম্মুখীন হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ হচ্ছে। এই সমস্ত কিছুর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করবে না শীর্ষ আদালত।
পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করানোর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আজ সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন