কাঁওয়ার যাত্রাপথে সমস্ত খাবার ব্যবসায়ীদের দকানের সামনে নাম লেখার নির্দেশিকাতে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের সরকারকে আগামী ৪ দিনের মধ্যে এই বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য পেশ করারও নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
২২ জুলাই থেকে শুরু হওয়া কাঁওয়ার যাত্রা নিয়ে রাজনীতি তুঙ্গে। যাত্রাপথের দুদিকে থাকা সমস্ত খাবার বিক্রেতাদের দোকানের সামনের বোর্ডে নিজেদের নাম লিখতে নির্দেশিকা জারি করেছিল উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। যোগী রাজ্যের পর এই একই নির্দেশিকা জারি করেছিল আরও দুই বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড। প্রশাসনের এই নির্দেশিকা ঘিরে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। বিরোধীদের দাবি, ধর্মীয় মেরুকরণের উদ্দেশ্যে এমন করতে বাধ্য করছে প্রশাসন। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। একাধিক মামলা দায়ের হয়। সেগুলি একত্রিত করে সোমবার শুনানি হয়। মামলাকারীদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি সওয়াল করেন, দোকানে মানুষ আসে মেনু দেখে। একজন ব্যবসায়ীর নাম দেখে কেউ খেতে আসে না। এই ধরণের আদেশ কোনও দিন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রে কার্যকর করা উচিত নয়।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের এসভিএন ভাট্টি এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চ জানায়, এই নির্দেশ যদি পালন করা হয় তাহলে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতায় আঘাত লাগবে। দোকান ব্যবসায়ীদের নাম লিখতে বাধ্য করা উচিত নয়। তাই সরকারি নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হল।
প্রশাসনের এই নির্দেশিকা ঘিরে বিরোধীরা আপত্তি তুললেও শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, 'কাঁওয়ার তীর্থযাত্রীদের পবিত্রতা রক্ষার উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত। যাত্রাপথের দু'পাশের সমস্ত খাবারের দোকানের সামনের বোর্ডে মালিকের নাম লেখা বাধ্যতামূলক'। সরকারি এই নির্দেশিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন জেডিউ, আরএলডি-র মতো বিজেপির জোট সঙ্গীরাই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন