রবিবার তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদী। সাথে আরও ৭১ জন সাংসদও মন্ত্রী পদে শপথ নিলেন। কিন্তু সেই তালিকায় নেই কোনো মুসলিম সম্প্রদায়ের সাংসদ। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
'ধর্মনিরপেক্ষ' ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটলো। যেখানে মন্ত্রীপদে শপথ নিতে দেখা গেল না কোনো মুসলিম সাংসদকে। এমনকি মোদীর এর আগের দু'দফাতেও মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘু মুখ ছিলেন। ২০১৪ সালে মোদীর প্রথম দফায় মুসলিম সম্প্রদায়ের নাজমা হেপতুল্লা শপথ নিয়েছিলেন। তিনি সংখ্যালঘু মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন।
দ্বিতীয় মোদী সরকারের আমলে (২০১৯) মুখতার আব্বাস নাকভি মন্ত্রীপদে শপথ গ্রহণ করেছিলেন। তিনিও সংখ্যালঘু মন্ত্রকের দায়িত্ব পান। কিন্তু তিন বছর মন্ত্রী থাকার পর ২০২২ সালে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে তিনি আর নির্বাচিত হননি। তারপর থেকে মোদী মন্ত্রিসভায় কোনো মুসলিম মন্ত্রী ছিলেন না।
তৃতীয় মোদী সরকারে কোনো মুসলিম মুখ না থাকার একটি কারণ হলো জয়ী মুসলিম সাংসদের সংখ্যা। এনডিএ জোটের কোনও মুসলিম সাংসদ নেই। এবার নির্বাচনে ২৪ জন মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রার্থী সাংসদ হিসেবে জয়ী হয়েছেন। যার মধ্যে ২১ জন সাংসদ ইন্ডিয়া মঞ্চের। বাকি ৩ জনের মধ্যে একজন হলেন মিম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়াইসি এবং ২ জন নির্দল সাংসদ হলেন আব্দুল রশিদ শেখ ও মহম্মদ হানিফা।
ইউপিএ সরকারের আমলে মন্ত্রিসভায় একাধিক সংখ্যালঘু মুখ ছিল। ২০০৪ সালে ৪ জন এবং ২০০৯ সালে ৫ জন মুসলিম সম্প্রদায় থেকে মন্ত্রী হয়েছিলেন। অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের আমলেও মন্ত্রিসভায় মুসলিম মন্ত্রী ছিলেন।
উল্লেখ্য, রবিবার শপথ নেওয়া ৭২ জন মন্ত্রীর মধ্যে ৩০ জন ক্যাবিনেট মন্ত্রী, পাঁচজন স্বতন্ত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং ৩৬ জন প্রতিমন্ত্রী রয়েছে। ৭২ মন্ত্রীর মধ্যে ১১ জন শরিক দলের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন