'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ'- এর কথা শোনা যায় বিজেপি নেতাদের মুখে। কিন্তু, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর (এনসিবি) তথ্য বলছে, এখনও সংখ্যালঘু এবং দলিতদের উপরে হামলা থেমে নেই। প্রতিদিনই তা সংগঠিত হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
২০১৫ সালে সারা দেশে দলিতদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে ৩৮ হাজার ৬৭০ টি। ২০১৬ সালে তা হয় ৪০ হাজার ৮০১। ২০১৮ সালে দলিতদের উপরে হামলার ঘটনার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ হাজার ৭৯৩। ২০১৯ সালে ৪৫ হাজার ৯৬১ টি। ২০২০ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৫০ হাজার ২৯১ টি। অন্যদিকে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট বলছে, এখনও সংখ্যালঘু এবং দলিতদের উপরে হামলার ঘটনা সবথেকে বেশি ঘটে বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশে। গোটা দেশে দলিত বা সংখ্যালঘুদের উপর হামলার যত ঘটনা ঘটে, তার ৪৩ শতাংশই যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের। ২০১৬ সালে উত্তরপ্রদেশে দলিতদের উপর হামলার ঘটনা ১০ হাজার ৪২৬ টি। আর ২০২০ সালে তা ক্রমাগত হারে বেড়ে দাঁড়ায় ১২ হাজার ৭১৪।
জানা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশ-সহ রাজস্থান, বিহার, হরিয়ানা এবং মধ্যপ্রদেশ- এই পাঁচ রাজ্যেই গোটা দেশের দলিত এবং সংখ্যালঘুদের উপরে হামলার ঘটনার হার ৬৪ শতাংশ। ২০১৬ সালে বিহারে ৫ হাজার ৭০১ টি, রাজস্থানে ৫ হাজার ১৩৪ টি, মধ্যপ্রদেশে ৪ হাজার ৯২২ টি হামলার ঘটনা ঘটে। আর ২০২০ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায়- বিহারে ৭ হাজার ৩৬৮ টি, রাজস্থানে ৭ হাজার ১১৭ টি এবং মধ্যপ্রদেশে ৪ হাজার ৮৯৯ টি। আর এই পাঁচ রাজ্যের সবথেকে কাছাকাছি রয়েছে দিল্লি, গুজরাট এবং উত্তরাখণ্ড।
অন্যদিকে দক্ষিণের তামিলনাড়ু, কেরল, তেলেঙ্গানা বা উত্তর-পূর্ব এবং পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে এই ধরনের হামলার ঘটনা একেবারেই নগণ্য। এই সময়কালের মধ্যে উত্তর- পূর্বের আটটি রাজ্যে দলিত এবং সংখ্যালঘুদের উপরে হামলার ঘটনা শতাংশের নিরিখে ০.৫৪ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশায় তা ৫.১৭ শতাংশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন